বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সময়ে কোনো মহামারি দেখা দেয়নি।এজন্য যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ হলেন,বিশ্ববাসীর জন্য রহমত।সুতরাং উনার সময়ে কোনো প্রকার মহামরি দেখা দিতেই পারে না।
তাছাড়া আরব দেশ গরমের দেশ।আর গরমের দেশে মহামারি হয় না।এজন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন মহামারির কথা উল্লেখ করে ওয়াজ নসিহত করতেন,তখন সাহাবায়ে কেরাম,রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞেস করতেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ মহামারি বা তাউন কি?
হযরত উমর রাযির সময়ে শাম অঞ্চল তথা বর্তমান ফিলিস্তিন এলাকায় তাউন বা মহামারি দেখা দিয়েছিলো।পূর্ববর্তী সকল জিহাদ মিলিয়েও এত সংখ্যক মুসলমাস নিহত হননি যত সংখ্যক মুসলমান এই মহামারিতে নিহত হয়েছিলো।
হযরত উমর রাযি মহামারির কারণে সেই অঞ্চলে যাওয়ার ইচ্ছা পরিত্যাগ করেন।অর্থাৎ উমর রাযির আ'মল ছিলো,যাতায়ত বন্ধ করা।গভর্নর আমর ইবনুল আস শামের পাহাড়ী পাহড়ী অঞ্চলে বিক্ষিপ্তাকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে আদেশ জারি করেন।
আপনি মহামারি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইবনে হজর রাহ এর কিতাব" বজলুল মাউন ফি ফাযলিত-তাউন নামক কিতাব দেখতে পারেন।সেটা বাংলা অনুবাদ বের হয়েছে কি না জানি না।খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
করোনা কোনো জায়গার সাথে নির্দিষ্ট নয়।বরং করোনার প্রভাব বিশ্বময়। হ্যা মাঝেমধ্যে কোথাও কোথাও করোনার বেশ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
সুতরাং যখন কোনো এলাকায় করোনার বেশ প্রভাব পরিলক্ষিত হলে,সেই এলাকায় বা সেই গ্রাম ও শহরে যাওয়া জায়েয হবে না।এবং সেই এলাকা থেকে বাহির হয়ে কেউ অন্যত্রও যেতে পারবে না।
আপনি যেইসব এলাকার নাম বলেছেন,সেই সব এলাকায় যদি করোনার বেশ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়,তাহলে আপনি যেতে পারবেন না।নতুবা আপনি যেতে পারবেন।