ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
গরু, ছাগল, মুরগী ইত্যাদি জবাই করার সময় বিশেষ করে কয়েকটি
বিষয়ে লক্ষ্য রাখা।
১. প্রাণীকে প্রয়োজন অতিরিক্ত কষ্ট না দেওয়া। তাই প্রাণী ধরা, শোয়ানো ও জবাইয়ের কাজগুলো এভাবে
করা উচিত যেন প্রাণীর অতিরিক্ত কষ্ট না হয়। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৫; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৮৬০৯)
২. জবাইয়ের সময় পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে কিবলামুখী করে বাম
কাতে শোয়ানো এবং জবাইকারীর কিবলামুখী হয়ে জবাই করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৮৫৮৭)
৩. জবাইয়ের জন্য ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِنّ
اللهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا
الْقِتْلَةَ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذّبْحَ، وَلْيُحِدّ أَحَدُكُمْ
شَفْرَتَهُ، فَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ.
আল্লাহ তাআলা সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অতএব যখন তোমরা হত্যা করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা কর। যখন যবেহ করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে
যবেহ কর। প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে এবং তার পশুকে শান্তি দেবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৫)
৪. প্রাণীর সামনে অস্ত্র ধার না দেওয়া এবং এক প্রাণীর সামনে
আরেক প্রাণী জবাই করা থেকে বিরত থাকা।
আবু হুরাইরা রা. বলেন-
إِذَا
أَحَدّ أَحَدُكُمُ الشّفْرَةَ فَلَا يُحِدّهَا وَالشَاةُ تَنْظُرُ إِلَيْهِ.
কেউ যেন প্রাণীর দৃষ্টির সামনে ছুরিতে শান না দেয়। (মুসান্নাফে
আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা ৮৬০৬, ৮৬১০)
৫. দক্ষ ও পারদর্শী লোকের মাধ্যমে দ্রুত জবাইয়ের কাজ শেষ করা।
৬. শুধু গলার রগগুলো কেটেই ক্ষান্ত থাকা।
গর্দান বা পূর্ণ মাথা বিচ্ছিন্ন না করা। (মুসান্নাফে আব্দুর
রাযযাক, বর্ণনা ৮৬০০)
৭. পুরোপুরি নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত কাটা-ছেলা ও এজাতীয় অন্যান্য
কাজ থেকে বিরত থাকা। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৮৮-৯০;
আলমাবসূত, সারাখসী ১১/২২৬;
আলইখতিয়ার ৪/২৩৬;
আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৪৭
(কপিঃ মাসিক আল কাউসার)
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
পরবর্তীতে যখন জবাই করবেন তখন খুব সতর্কতার সাথে জবাই করবেন
যাতে করে মুরগী বা পশু অতিরিক্ত কোনো কষ্ট না পায়। আর এবার যেহেতু প্রথমবার আপনি জবাই
করেছেন তাই হয়তো এমন হয়েছে। তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।