আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম।

এক বোনের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। বোনটা ছেলেটার জন্মদিনে দশ হাজার টাকা দিয়ে একটা ডাইমন্ড রিং গিফ্ট করতে চাইলে ছেলেটা তার কাছ থেকে জোর করে ৫০০০০ টাকার রিং চায়। মেয়েটা পুরো ৫০০০০ টাকা জোগাড় করতে না পারায় ছেলেটা বাকি টাকা দিয়ে রিং টা কিনে। এমনিভাবে ছেলেটার মেয়েটাকে ১৫০০০ ঠাকার স্বর্নের রিং দেয়। এই রিং কেনার সময়ও ৩ বা ৪ হাজার টাকা মেয়ে দেয়। রিং দুইটা কেনার সময় ঠিক কতটাকা সে দিয়েছে ও ছেলেটা কতটাকা দিয়েছে তার মনে নেই।  একপর্যায়ে ঝগড়া করে সে রিং টা মেয়েটাকে ফেরত দিয়ে দেয়।এখন তাদের সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। যোগাযোগ করলে নতুন করে খুব সমস্যা তৈরি হবে।

১) মেয়েটার রিং গুলোকে এখন কি করা উচিত?

২) বিভিন্ন সময়ে ছেলেটার কাছে থেকে সে যে গিফ্ট নিয়েছে বা খেয়েছে সেগুলো থেকে কিভাবে তাওবা করতে হবে?

৩) ছেলেটার কাছে তার কিছু ছবি রয়েছে। সেগুলো থেকে কিভাবে তাওবা করতে হবে? এটা কি তার গোনাহে জারিয়া হয়ে থাকবে? এথেকে মাফ পাওয়ার কি কোন উপায় আছে?

৪) সে কিছু হালাল বিষয়ে করা কসম ভঙ্গ করেছে। তার কাছে আংট ও কানের একটা রিং ছাড়া কোন টাকা পয়সা নেই।  তিনদিন টানা রোজা রাখলে কি তার কাফফারা আদায় হবে? নাকি গহনাগুলো বিক্রি করে গরিবদের দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নের বিবরণ মতে আমরা বলবো,
হাদিয়াকে যখন কেউ গ্রহণ করে নেবে তখন সেটার সম্পূর্ণ মালিক ঐ ব্যক্তি হয়ে যাবে, যে ঐ হাদিয়াকে গ্রহণ করে নিবে।

ولا يملك المهدى إليه الهدية إلا بالقبض بإذن المهدي أو وارثه عند موته قبل القبض
হাদিয়া যার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে,সে ব্যক্তি যতক্ষণ না প্রেরক বা প্রেরকের ওয়ারিছদের অনুমতিতে গ্রহণ/কবজা না করছে,ততক্ষণ সে উক্ত জিনিষের মালিক হবে না।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৫৬)
সুতরাং যখন হাদিয়া গ্রহণের পর গ্রহণকারী এই জিনিষের সম্পূর্ণ মালিক বনে যায়,তাই সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটাকে ব্যবহার করতে পারবে।চাইলে কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।

(১)
হারাম উদ্দেশ্যে কেউ কাউকে হাদিয়া দিলে,সেই হাদিয়া অবশ্যই হারাম বলে পরিগণিত হবে।তবে প্রেরক যেহেতু অন্তরের সন্তুষ্টিতে এ সমস্ত হাদিয়া দিয়েছেন,তাই প্রাপক কবজা করে নিলে প্রাপক অবশ্যই সেটার মালিক বনে যাবে।সে হিসেবে বলা যায় যে,যদিও রিংকে ফেরৎ দেয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়,তবে মেয়ের জন্য তাকওয়ার দাবী হল,উক্ত জিনিষকে ফিরিয়ে দেয়া।


(২)
যথাসম্ভব সে সব জিনিষ বা তার মূল্য তাকে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ।

(৩)
যথা সম্ভব ছবিগুলো ডিলেট করার জন্য ছেলেকে রাজী করাতে হবে।সম্ভব না হলে, আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে নিলেই আল্লাহ ক্ষমা করবেন,গোনাহের জারিয়াহ হবে না।


(৪)
কসম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3101

আপনার বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে এটা এমন কসম, যে কসমের কোনো কাফফারা আসবে না।তবে তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...