বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নের বিবরণ মতে আমরা বলবো,
হাদিয়াকে যখন কেউ গ্রহণ করে নেবে তখন সেটার সম্পূর্ণ মালিক ঐ ব্যক্তি হয়ে যাবে, যে ঐ হাদিয়াকে গ্রহণ করে নিবে।
ولا يملك المهدى إليه الهدية إلا بالقبض بإذن المهدي أو وارثه عند موته قبل القبض
হাদিয়া যার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে,সে ব্যক্তি যতক্ষণ না প্রেরক বা প্রেরকের ওয়ারিছদের অনুমতিতে গ্রহণ/কবজা না করছে,ততক্ষণ সে উক্ত জিনিষের মালিক হবে না।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৫৬)
সুতরাং যখন হাদিয়া গ্রহণের পর গ্রহণকারী এই জিনিষের সম্পূর্ণ মালিক বনে যায়,তাই সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটাকে ব্যবহার করতে পারবে।চাইলে কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।
(১)
হারাম উদ্দেশ্যে কেউ কাউকে হাদিয়া দিলে,সেই হাদিয়া অবশ্যই হারাম বলে পরিগণিত হবে।তবে প্রেরক যেহেতু অন্তরের সন্তুষ্টিতে এ সমস্ত হাদিয়া দিয়েছেন,তাই প্রাপক কবজা করে নিলে প্রাপক অবশ্যই সেটার মালিক বনে যাবে।সে হিসেবে বলা যায় যে,যদিও রিংকে ফেরৎ দেয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়,তবে মেয়ের জন্য তাকওয়ার দাবী হল,উক্ত জিনিষকে ফিরিয়ে দেয়া।
(২)
যথাসম্ভব সে সব জিনিষ বা তার মূল্য তাকে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ।
(৩)
যথা সম্ভব ছবিগুলো ডিলেট করার জন্য ছেলেকে রাজী করাতে হবে।সম্ভব না হলে, আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে নিলেই আল্লাহ ক্ষমা করবেন,গোনাহের জারিয়াহ হবে না।
(৪)
আপনার বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে এটা এমন কসম, যে কসমের কোনো কাফফারা আসবে না।তবে তাওবাহ করতে হবে।