শরীয়তের বিধান হলো কোন গোনাহের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূর্ণ করা জায়েজ নয়। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ পূর্ব প্রেম ভালোবাসায় কৃত কোনো ওয়াদা পালন করাই জরুরি নয়। শরীয়ত বলে যে গোনাহের কর্মের কোন প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ করা আবশ্যক নয়।
এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কোনো গুনাহ হবেনা।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই নারীর সাথে বিবাহের ওয়াদা পূরন না করার কারনে প্রতারণার গুনাহ আপনার হবেনা।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইসলামে বিবাহ পূর্ব প্রেম স্পষ্ট হারাম।
হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-
اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه
“দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾
আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।
অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
★অবৈধ প্রেম ভালোবাসাও মানুষকে অন্ধ বানায়,অনেক সময় শিরকের নিকটতম করে দেয়।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি তার শারীরিক কোনো হক নষ্ট না করে থাকলে তার অভিশাপে আপনার কোনো ক্ষতি হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
না,আপনাকে কোনো কাফফারা দিতে হবেনা।