বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোন হারাম জিনিষির মূল স্বত্ত্বা যখন পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেটা জায়েজ হয়ে যায়।এটা ফিকহের মূলনীতি সমূহের একটি।
ফুকাহায়ে কেরাম ভিন্ন আরেকটি হাদীসের আলোকে ঐ মূলনীতিকে সংকুচিত করেন,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
ফুকাহায়ে কেরাম মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত অনুমতি দেন।নতুবা সতর্কতামূলক এসব জিনিষ থেকে বেঁচে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।যেমন কোথাও হালাল পন্য পাওয়া না গেলে সেখানে উক্ত হারাম সম্বলিত মূল সত্বা পরিবর্তিত পন্যর ব্যবহার জায়েয রয়েছে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সয়াবিন তেলেও হারাম উপাদান মিক্স করা হয়ে থাকে,কিন্তু বর্তমানে যেহেতু আমাদের সামনে সেটি দেখতে তেল-ই।তাই বুঝা গেল,ঐ হারাম জিনিষের মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে,সেটা হালাল ও বৈধ জিনিষের রূপ ধারণ করেছে।
সুতরাং এখন ঐ হারামের বিধান আর আসছে না বরং জিনিষটা হালালই থাকছে।তবে যদি শারিরিক ক্ষতিকর কোনো উপাদান মিলিত থাকে,তাহলে সেটা মূলসত্বা পরিবর্তিত হওয়ার পরও হারাম হিসেবেই থাকবে।কেননা শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ সেবন করা পরিস্কার হারাম।
হ্যা বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে,সেই বিকল্প ব্যবস্থাকে গ্রহণ করাই তাকওয়ার দাবী।
উপরুক্ত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,রেষ্টুরেন্ট ওফাস্টফুডের খাবার খাওয়া জায়েয।