আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
631 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (100 points)
যদি সয়াবিন তেলেও হারাম উপাদান মিক্স করা হয় তবে হোটেল,স্ট্রেট ফুড, এর খাবার খাওয়া যাবে?  খোলা তেল ইউজ করে যেহেতু! তাছাড়া রেস্টুরেন্ট এর খাবারেও কোন কোম্পানির তেল ইউজ করছে জানি না যেহেতু তো হারাম হওয়া সন্দেহে খাওয়া যাবে না?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোন হারাম জিনিষির মূল স্বত্ত্বা যখন পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন সেটা জায়েজ হয়ে যায়।এটা ফিকহের মূলনীতি সমূহের একটি।
ফুকাহায়ে কেরাম ভিন্ন আরেকটি হাদীসের আলোকে ঐ মূলনীতিকে সংকুচিত করেন,

নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

ফুকাহায়ে কেরাম মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র জরুরত পর্যন্ত অনুমতি দেন।নতুবা সতর্কতামূলক এসব জিনিষ থেকে বেঁচে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।যেমন কোথাও হালাল পন্য পাওয়া না গেলে সেখানে উক্ত হারাম সম্বলিত মূল সত্বা পরিবর্তিত পন্যর ব্যবহার জায়েয রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4759


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সয়াবিন তেলেও হারাম উপাদান মিক্স করা হয়ে থাকে,কিন্তু বর্তমানে যেহেতু আমাদের সামনে সেটি দেখতে তেল-ই।তাই বুঝা গেল,ঐ হারাম জিনিষের মূলসত্বা পরিবর্তিত হয়ে,সেটা হালাল ও বৈধ জিনিষের রূপ ধারণ করেছে।

সুতরাং এখন ঐ হারামের বিধান আর আসছে না বরং জিনিষটা হালালই থাকছে।তবে যদি শারিরিক ক্ষতিকর কোনো উপাদান মিলিত থাকে,তাহলে সেটা মূলসত্বা পরিবর্তিত হওয়ার পরও হারাম হিসেবেই থাকবে।কেননা শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ সেবন করা পরিস্কার হারাম।

হ্যা বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে,সেই বিকল্প ব্যবস্থাকে গ্রহণ করাই তাকওয়ার দাবী।

উপরুক্ত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,রেষ্টুরেন্ট  ওফাস্টফুডের খাবার খাওয়া জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...