জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামে জামাআতের সহিত নামাজ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-
لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.
আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.
অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫
আরো জানুনঃ
,
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু এই সমস্যা আপনার সবসময় হয়না,বরং মাঝে মাঝে হয়,তাই এক্ষেত্রে আপনি মাযুর নন।
আপনি মসজিদে এসে জামাতের সাথেই নামাজ পড়বেন।
হ্যাঁ যদি মসজিদে এসে নামাজের সময় এহেন সমস্যা শুরু হয়,তাহলে শুধু সেই সময় আপনি বাসায় চলে এসে বা একাকী নামাজ পড়তে পারেন।
,
জামায়াতের আগ মুহুর্তেই যদি নামাজে যান,তাহলে যাওয়ার আগ দিয়ে যদি এই ওযর শুরু হয়,তাহলে যাওয়ার আর দরকার নেই।
সমস্যা কেটে গেলে বাড়িতেই সেই নামাজ আদায় করবেন।
,
তবে জামাআতের আগে যদি আপনার ওযর না থাকে,তাহলে সেই অজুহাতে জামাআত তরক করা জায়েজ হবেনা।