আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
184 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার মামার কিছুদিন আগে তালাক হয়। মেয়ে তালাক চায়৷ মেয়ে পেপারে সাইন করে মামার কাছে পাঠায়। মামা সাইন করে দিয়ে দেয়। মুখে কোনো তালাক উচ্চারণ করে নি৷ এখন আবার মেয়ে মামার কাছে ফিরতে চায়৷ আবার বিয়ে করতে চায়। এখন আমার প্রশ্নঃ
১) মুখে উচ্চারণ না করায় কি তালাক হয়েছে?
২) তারা কি আবার বিয়ে করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাক শব্দ লিখার দ্বারা হয়ে যাবে।মূখে উচ্ছারণের প্রয়োজন নেই।
ﺛُﻢَّ اﻟْﻤَﺮْﺳُﻮﻣَﺔُ ﻻَ ﺗَﺨْﻠُﻮ ﺇﻣَّﺎ ﺃَﻥْ ﺃَﺭْﺳَﻞَ اﻟﻄَّﻼَﻕَ ﺑِﺄَﻥْ ﻛَﺘَﺐَ: ﺃَﻣَّﺎ ﺑَﻌْﺪُ ﻓَﺄَﻧْﺖِ ﻃَﺎﻟِﻖٌ، ﻓَﻜَﻤَﺎ ﻛَﺘَﺐَ ﻫَﺬَا ﻳَﻘَﻊُ اﻟﻄَّﻼَﻕُ ﻭَﺗَﻠْﺰَﻣُﻬَﺎ اﻟْﻌِﺪَّﺓُ ﻣِﻦْ ﻭَﻗْﺖِ اﻟْﻜِﺘَﺎﺑَﺔِ.
লিখা কয়েক ধরণের হয়ে থাকে।যদি কাগজে সে তার স্ত্রীকে এভাবে লিখে যে,
পরসমাচার!তুমি তালাক।যখনই সে তালাক শব্দ লিখবে সাথে সাথেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।এবং লিখার সময় হতে স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে।

লিখিত তালাক পতিত হয়ে যায়।মূখে বলার প্রয়োজন নেই।(ফাতাওয়ায়ে দারুলউলুম ৫/৫৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী যদি লিখার দ্বারা তালাকের আবেদন করে বা তালাক চায়, এবং স্বামী যদি লিখার মাধ্যমে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। তবে স্ত্রী যদি কাগজে লিখে দেয় যে, সে তার স্বামীকে তালাক দিচ্ছে, তাহলে এতেকরে তালাক পতিত হবে না।

স্ত্রী কি লিখেছে, এবং স্বামী জবাবে কি লিখেছে, সবকিছু কমেন্টে জানাবেন।


(১) মেয়ের তালাকের অধিকার না থাকলে মেয়ে তালাক দিতে পারেনা। 
(২)যেহেতু তালাক হয়নি, তাই তারা আবার বিয়ে করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by
মেয়ে ডিভোর্স লেটার সাইন করিয়ে পাঠিয়েছিলো। তারপর মামাও সাইন করে দেয় ডিভোর্স লেটারে। যেটার মাধ্যমে বাংলাদেশের আইনে তাদের তালাক হয়েছে। 
by (597,330 points)
এভাবে তালাক হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...