بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
এ হাদীস দ্বারা যদিও আত্মহত্যাকারী চিরস্থায়ী জাহান্নামী বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি আসলে এমন নয়। বরং আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি যদি ঈমানদার হয়, আর ঈমানের সাথেই যদি মৃত্যুবরণ করে থাকে, তাহলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হতে পারে না। চিরস্থায় জাহান্নামী হবে কেবল কাফের-মুশরিকরা। কোন মুসলমান চিরস্থায়ী জাহান্নামী হতে পারে না। তবে দীর্ঘস্থায়ী জাহান্নামী হতে পারে। এ হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্যও এটাই। আরবের পরিভাষায় خالدا مخلداশব্দ, যার অনুবাদ করা হয়, “চিরকাল”মূলত এর দ্বারা আরবের লোকেরা কখনো কখনো দীর্ঘস্থায়ী অবস্থাকে বুঝিয়ে থাকেন। উক্ত হাদীসেও উদ্দেশ্যও দীর্ঘস্থায়ী হওয়া। চিরস্থায়ী হওয়া নয়। [দ্রষ্টব্য শরহু সহীহিল বুখারী লিইবনে বাত্তাল, উমদাতুল কারী}
এক কথায় আত্মহত্যা করা কবীরা গোনাহ। আর কবীরা গোনাহ তওবা দ্বারা মাফ হয়ে যায়। কিন্তু আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির তওবার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু তওবা না করলেও আল্লাহ তাআলা ইচ্ছে করলেই উক্ত ব্যক্তিকে নিজ রহমতে মাফ করে দিতে পারেন। কিংবা তাকে দীর্ঘস্থায়ী শাস্তি দিতে পারেন। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/759যেহেতু আত্মহত্যাকারী কাফির নয়, তাই আত্মহত্যাকারীর জন্য দু'আ করা নিষেধ হবে না।বরং দু'আ করা যাবে। এবং জানাযাও পড়া যাবে।হ্যা, দ্বীনি বিষয়ে অনুসরণীয় ব্যক্তিবর্গ আত্মহত্যাকারীর জনাযায় শরীক না হওয়াই উচিৎ ও কাম্য। কেননা এতেকরে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাবে।
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
মাইয়্যেতর দোয়া উপলক্ষে দিন তারিখের রসম বা প্রথা পরিহার করে স্বাভাবিক ভাবে দোয়া করা জায়েয আছে এবং উক্ত বিল্ডিংয়ে দ্বীনি আলোচনার মজলিস করাও জায়েয আছে।