শায়েখ আমি কিছু বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।
১. আমার বউ পর্দা করতে অনাগ্রহী, এটা নিয়ে কথা বললেই বিশাল ঝামেলা শুরু হয়। গত দিন তাকে এই নিয়ে বলায় যথারিতি ঝামেলা শুরু হয়, তখন তাকে বলি একদিন তুমি তোমার ভুল বুঝতে পারবায় ইনশাআল্লাহ। পরে সে বলে "আল্লাহ আমারে আমার ইচ্ছামতো থাকার তৌফিক দিক, আমিন"(অর্থাৎ সে তার মতো থাকতে চাওয়ার জন্য দোয়া করে)
"আমি চাইছিলাম্না আমার লাইফ এমন হোক,
আল্লাহ আমারে বিপদে ফালাইছইন", "আমি হুজুর চাইছিলাম না, আমি আমার মতো কেও চাইছিলাম", "আমি পর্দাটাই করতে পারবো না, এটা আমি চাই না কখনো" তাছাড়া আমাদের বিয়েকেও গালি দেয়" বলে বিয়ে করে বিপদে পরেছি, _____ এর বিয়ে" (___ একটা বাজে শব্দ)
এসব বলে সে তালাক চেয়ে বসে, এই বিষয়ে পরে জানতে চাচ্ছি, প্রথমে জানতে চাই তার উপরের কথা দ্বারা কোনো ভাবে কুফর হয় কি না?
২.(ম্যাসেজে আলাপ হচ্ছিলো) তারপর সে আমাকে বলে " তুই আমারে মুক্তি দে,কদিন পরপর এইসব জ্বালা ভালো লাগে না" তখন আমি জবাবে একটি লাইন লেখি" আচ্ছা বউ, তুমি বলো তো, আমি তোমারে কি এমন বললাম। এই ম্যাসেজ টাইপের সময় "আচ্ছা বউ" লিখে একটু থামি তখন মাথায় আসে, এভাবে লিখলে কি বউ এর মুক্তি দে কথার জবাবে আচ্ছা,বা সম্মতি চলে আসে? তখন মনে হলো আমি তো এই নিয়তে আচ্ছা বউ বলছি না তারপর সব লাইন লিখে সেন্ড করি। এর ফলে কি কোনো তালাক পতিত হয়েছে? যেহেতু এটা মজলিশ ছিলো..
(উল্লেখ্য আমি আচ্ছা বউ বলে ম্যাসেজ লিখা শুরু করেছিলাম, অনেক সময় আমরা মানুষকে প্রশ্ন করার সময়, আচ্ছা বলে প্রশ্ন শুরু করি না?যেমন, আচ্ছা স্যার এটা কিভাবে হলো, আচ্ছা হুজুর এটা জায়েজ কি না, এই নিয়তে আচ্ছা লিখা)
৩. তার পর বলে আমার কাজে বাধা দিয়ো না, দিলে।কখন আমার মুখ দিয়া বাহির হইয়া যাইবো, আর শেষ হইবো সব(মূলত তার তালাকের অধিকার আছে তাই এটা বলেছে) এতে কি কোনো শর্ত বা কিছু হয়?
৪. এটা তো তালাকের মজলিস ছিলো,এটা কতোক্ষন স্থায়ী হয় এব্যাপারে কি কিছু আছে?এখন সেই ওয়াটসাপে যদি আমি ভয় দেখানোর জন্য কেনো কেনায়া কথা বলিও তবে কি তালাক হবে? না কি তালাকের মজলিস,শেষ এখন ওই ম্যাসেজ উপরে লিখা থাকার পরে ও আমি কেনায়া বাক্য ভয় দেখানোর জন্য বললে তালাক হবে না। মূলত এই মজলিস, বাস্তবে বা ম্যাসেজে কতোসময় থাকে
৫.আমার বিবাহের পর থেকে আমি কিছু ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করি,প্রেকটিসিং যাকে বলে। আমার বউ ও মাশাআল্লাহ মেনে চলে,শুধু পুরোপুরি পর্দা করে না।এই নিয়ে কথা বলার আগে পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে কিন্তু তাকে পছন্দ মতো কাপড় পড়তে মানা করলেই সে কেমন জানি হয়ে যায়। সরাসরি প্রথমেই তালাক চেয়ে বসে, গত কালকে বলেই দিলো এসব নিয়ে বাধা দিলে নিজেই তালা* নিয়ে বসবে। আসলে আমি তাকে খুবই ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমার স্বাভাবিক জীবন চলবে না, সেও অনেক ভালোবাসে, আমল আখলাখ ও ওই একটি বিষয় ছাড়া বাকি দিকে ভালো। তাকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আর এই ঝামেলাও নিতে পারছি না।
তাকে তার মতো তার হালতে চলতে দিয়ে, আমি যদি শুধু দোয়া করি, আর যখন মন ভালো থাকে তখন এট্টু আট্টু বুঝাই তবে কি আমার দায়িত্ব আদায় হবে? দাইয়ুস থেকে মুক্তি পাবো? এটা নিয়ে তাকে স্বাভাবিক রাগ দেখালেই সে তো সম্পর্ক শেষ করতেও প্রস্তুত হয়ে যায়।