বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযরত অবস্থায় বাচ্ছা কান্নাকাটি করলে, বাচ্ছার কান্নাকাটি বন্ধ করানোর কেউ না থাকলে, বা বাচ্ছার কান্নাকাটি বন্ধ হবে না বলে নিশ্চিত ধারণা হলে,কেবল তখন নামাযকে সংক্ষেপ করে আদায় করা যাবে। শুধুমাত্র নামাযের ফরয,ওয়াজিব আদায় করে,নামাযকে সমাপ্ত করা যাবে।
(২)
বিতর সালাতে ২য় রাকাতে যদি ভুলক্রমে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সূরা পড়া না হয়, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।সাহু সিজদা দেওয়া সম্ভব না হলে,ওয়াক্তের ভিতর সালাতকে পুনরায় পড়তে হবে। ওয়াক্ত চলে গেলে নামাযকে আর দোহড়াতে হবে না বরং ইস্তেগফার করে নিলেই হবে।
(৩)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি মানত করে তার সফলভাবে এই কাজটা হলে সে একটা খাসি গরিব দুঃখীকে দিবে কিন্ত পরবর্তীতে যদি এই নিয়ত করে যে, খাসির ঐ পরিমাণ টাকা কোনো দরিদ্র পরিবারকে দিয়ে দিবে, এতে কোনো গোণাহ হবে না।বরং তার মান্নত আদায় হয়ে যাবে।