مَيْمُون ج مَيَامِين [يمن]
[মাইমূন] মাইমুনাহ শব্দের অর্থঃ-
সৌভাগ্যবান
সুখী
শুভ
অনুকূল
বৃহদাকার বানরবিশেষ
বেবুন
(০২)
হ্যাঁ, এ নাম রাখা যাবে।
(০৩)
জানা মতে কোনো সম্পর্ক নেই।
,
(তবে তার একজন সন্তানের নাম মাইমুনাহ ছিলো।)
(০৪)
এ কথা সঠিক নয়।
,
বরং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর এক স্ত্রীর নামও মাইমুনাহ ছিলো।
,
হযরত মাইমুনাহ (রাযি.)
হযরত মাইমুনাহ (রাযি.)এর পিতার নাম হারিস এবং মাতার নাম হিন্দা। প্রথম স্বামী মাসঊদ ইবনে উমাইরীর কাছ থেকে তালাকপ্রাপ্তা হয়ে দ্বিতীয় স্বামী আবু রহম ইবনে উজ্জার মৃত্যুর পর তিনি নবী কারীম (সা.)এর পত্নী হবার সৌভাগ্য লাভ করেন। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর খেদমতে উৎসর্গ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করার প্রেক্ষিতে ‘সরিফ’ নামক স্থানে দয়ার নবী (সা.)এর সাথে তাঁর বিবাহ সম্পাদিত হয়। হযরত আব্বাস (রাযি.) উক্ত বিবাহ পড়ান।
দীর্ঘদিন পর তিনি একই স্থানে ইন্তিকাল করেন এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) তাঁর জানাযার নামায পড়ান এবং লাশ কবরস্থ করেন। তাঁর ইন্তিকালের সন সম্বন্ধে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশের মতে তিনি হিজরী ৫১ সনে ‘সরিফ’ নামক স্থানে ইন্তিকাল করেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
قَالَ مُسْلِمٌ وَرَوَى اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ أَقْبَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبِي الْجَهْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ الأَنْصَارِيِّ فَقَالَ أَبُو الْجَهْمِ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْجِدَارِ فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ
মুসলিম বলেন, লায়স ইবনু সাদ এর সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর মুক্তকৃত দাস উমায়র থেকে বর্ণিত। তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, আমি এবং উন্মুল মুমিনীন মাইমুনাহ (রাযিঃ) এর মুক্তকৃত দাস আবদুর রহমান ইবনু ইয়াসার একবার আবূল জাহম ইবনুল হারিস ইবনুস সিম্মা আল আনাসারীর কাছে গেলাম। তখন আবূল জাহম (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বি'রি জামাল (মদীনার নিকটবর্তী একটি স্থান) এর দিক থেকে আসছিলেন, অতঃপর পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎ করে সালাম দিল কিন্তু তিনি তার উত্তর দিলেন না বরং একটি দেয়ালের কাছে গিয়ে তার মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ করলেন। তারপর তার সালামের জবাব দিলেন। (মুসলিম শরীফ ৭০৮.ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭০৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭২১)
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ أَكْبَرُ عِلْمِي وَالَّذِي يَخْطُرُ عَلَى بَالِي أَنَّ أَبَا الشَّعْثَاءِ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ بِفَضْلِ مَيْمُونَةَ .
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাইমুনাহ (রাযিঃ) এর উদ্ধৃত্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। (মুসলিম ৬২১.ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৪০)
وَعَنْ أمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ : كُنْتُ عِنْدَ رَسُوْلِ اللَّه وَعِنْدَهُ مَيْمُوْنَهُ، فَأَقْبَلَ ابْنُ أُمُّ مَكْتُوْمٍ، وَذَلِكَ بَعْدَ أنْ أُمِرْنَا بِالْحِجَابِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «اِحْتَجِبَا مِنْهُ» فَقُلْنَا : يَا رَسُوْلَ اللهِ ألَيْسَ هُوَ أعْمىٰ : لَا يُبْصِرُنَا، وَلَا يَعْرِفُنَا ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : «أفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ ؟
উম্মু সালামাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। তখন তাঁর নিকট মাইমুনাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-ও ছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনু উম্মু মাকতুম এসে হাজির হন। এটা আমাদেরকে পর্দার হুকুম দেয়ার পরবর্তী ঘটনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ’’তার সম্মুখে পর্দা কর। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদেরকে দেখতে পায় না, চিনতেও পারে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা দু’জনও কি অন্ধ? তাকে কি তোমরা দেখতে পাও না?
(আবূ দাউদ ৪১১২, তিরমিজি ২৭৭৮। আহমাদ ২৬৫৭৯।)