জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(ক)
ফজরের পর সুরা সুরা ইয়াসিন আর রাতে সুরা সুরা ওয়াকিয়া পড়া সংক্রান্ত হাদীসঃ
★দারেমী শরীফে এসেছেঃ
عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’
অন্যত্রে এসেছেঃ
عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’
আরো জানুনঃ
★হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من قرأ سورةالواقعة كل ليلة لم تصبه فاقة ابدا"
যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮](মিশকাত পৃঃ ১৮৯)
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
উপরোক্ত হাদীস গুলো যদিও জয়ীফ,তব মুহাদ্দিসিনে কেরামগন যেহেতু বলেছেন যে ফাজায়েলের ক্ষেত্রে জয়ীফ হাদীস মানা যাবে,তাই অনেকেই উলামায়ে কেরামগন দের পরামর্শ মোতাকেব উক্ত হাদীসের উপর আমল করেন।
,
★★তবে কিছু উলামায়ে কেরামদের মত হলো কুরআনের অন্যান্য আয়াত তেলাওয়াত করলে প্রতিটি অক্ষরে যে পরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যায় এই সূরা তেলাওয়াত করলেও তার প্রতিটি অক্ষরে সেই পরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যাবে। তবে কুরআনে মাত্র কয়েকটি সূরা রয়েছে যেগুলোর অতিরিক্ত কিছু ফযিলত রয়েছে যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সহীহ হাদীসে সূরা ইয়াসিনের অতিরিক্ত কোনো ফযিলত বর্ণিত হয় নি। দু একটি দুর্বল হাদীসে এ সূরার বিভিন্ন ফযিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
,
(খ)
কেহ যদি সূরা তাওবাহ দিয়েই কেরাত শুরু করে,তাহলে সে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়বে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ২/১৫৫)
وعن محمد بن مقاتل فیمن أراد قراء ۃ سورۃ أو قراء ۃ اٰیۃ فعلیہ أن یستعیذ باللّٰہ من الشیطان الرجیم، ویتبع ذٰلک بسم اللّٰہ الرحمن الرحیم، فإن استعاذ بسورۃ الأنفال وسمی ومر في قراء تہ إلی سورۃ التوبۃ وقرأہا کفاہ ما تقدم من الاستعاذۃ والتسمیۃ ولا ینبغي لہ أن یخالف الذین اتفقوا وکتبوا المصاحف التي في أیدي الناس، وإن اقتصر علی ختم سورۃ الأنفال فقطع القراٰئۃ ثم أراد أن یبتدئ سورۃ التوبۃ کان کارادتہ ابتدائً قراء تہ من الأنفال فیعیذ ویسمی وکذٰلک سائر السور۔ (عالمگیری ۵؍۳۱۶)
সারমর্মঃ যদি কেহ সুরা তওবা দিয়েই কেরাত শুরু করে,তাহলে সে অন্যান্য সুরার ন্যায় أعوذ بالله من الشيطان الرجيم এবং بسم الله الرحمن الرحيم পড়বে।