ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এজাতীয় শব্দ যেকোনোভাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা, তালাক-সংক্রান্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُواً
আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। (সূরা বাকারা ২৩১)
তবে মনে মনে তালাকের নিয়ত করলে তালাক হয় না। আলমাউসুয়া’তুল ফিকহিয়া (২৩/২৯)– এসেছে,
فإذا نوى التّلفّظ بالطّلاق ثمّ لم يتلفّظ به : لم يقع بالاتّفاق
ودليل الجمهور قول ﷺ : ( إنّ اللّه تجاوز لأمّتي عمّا حدّثت به أنفسها ، ما لم تعمل أو تكلّم به )
‘কোন ব্যক্তি তালাকের নিয়ত করেছে, অতপর মুখে উচ্চারণ করে নি, তাহলে সকলের মতে তালাক হবে না। কেননা রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের মনের কথাগুলো ক্ষমা করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তা বাস্তবে করা হয় না কিংবা মুখে উচ্চারণ করা হয় না।’
অনুরূপভাবে তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,
يشترط بالاتفاق القصد في الطلاق: وهو إرادة التلفظ به
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কুরআন-হাদিসের বাইরে মনগড়া কোন পদ্ধতিতে নামাজ পড়লে নামাজ হবেনা। তেমনি বিবাহ ও তালাকের ক্ষেত্রেও মুসলমানদের জন্য আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশগুলো মানা জরুরী।
ইসলামে তালাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজনে বাধ্য না হলে ইসলাম তালাক দেওয়া পছন্দ করেনা। এ জন্য মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে তালাক হয় না। তালাক হওয়ার জন্য লেখা বা মুখে উচ্চারণ করা জরুরি। (সহিহ মুসলিম-২৬১, আল-আশবাহ ওয়ান নাযায়ের- ৮৯, আদ-দুররুল মুখতার ১/৫৩৫ (মাকতাবা এইচ এম সাঈদ) বাদায়েউস সানায়ে ৩/১৫৭, আল মাওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ-২৩/২৯)