بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
যদি একই রমজানের কাজা রোযা হয়,সেক্ষেত্রে দিন নির্দিষ্ট করতে হবেনা। তবে যদি একাধিক রমজানের
কাজা রোযা হয়, সেক্ষেত্রে
কোন রমজান,সেটি
নির্দিষ্ট করা জরুরী যে, কোন
রমজানের কাজা রোযা আদায় করতেছে। তবে সেই বছরের ১ম রোযা নাকি শেষ রোযা,
এভাবে নির্দিষ্ট করতে হবেনা। কিন্তু যদি কোন রমজানের কয়টি রোজা কাযা আছে তা নির্নয় করা সম্ভব
না হয়ে তাহলে এইভাবে নিয়ত করবে যে, “আমার জিম্মায় যত ফরজ রোজা কাযা রয়েছে, সেই অনাদায়কৃত
রোজা সমূহের মধ্য থেকে আমার জিম্মায় প্রথম
যেই রোজাটি কাযা আছে তা আজ আদায় করছি”
الدر المختار
وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2 /
76):
"كثرت الفوائت نوى أول ظهر عليه أو آخره، وكذا الصوم لو من
رمضانين هو الأصح.
(قوله: لو من رمضانين) لأنّ كل رمضان سبب
لصومه فصارا كظهرين من يومين بخلاف صوم يومين من رمضان واحد فيصح وإن لم يعين
القضاء عن اليوم الأول أو الثاني منه."
সারমর্মঃ-
যদি একাধিক নামাজ কাজা হয়
সেক্ষেত্রে তার উপর আবশ্যিক প্রথম জোহর বা শেষ জোহরের কাজা আদায়ের নিয়ত করবে,
অনুরুপ রোযাও। যদি একাধিক রমজানের কাজা
হয়।
২. ইবনে আবেদীন শামী রাহ
কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,
ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ
- ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﻧَﻮَﻯ ﺃَﻭَّﻝَ ﻇُﻬْﺮٍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻭْ ﺁﺧِﺮَﻩُ،
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺑﺪﻳﻦ
ﺍﻟﺸﺎﻣﻰ – ( ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﺇﻟَﺦْ ) ﻣِﺜَﺎﻟُﻪُ : ﻟَﻮْ ﻓَﺎﺗَﻪُ ﺻَﻠَﺎﺓُ
ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻭَﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺒْﺖِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻟَﺎ ﺑُﺪَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺘَّﻌْﻴِﻴﻦِ
ﻟِﺄَﻥَّ ﻓَﺠْﺮَ ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﻏَﻴْﺮُ ﻓَﺠْﺮِ ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺗَﺴْﻬِﻴﻞَ
ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ، ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺃَﻭَّﻝَ ﻓَﺠْﺮٍ ﻣَﺜَﻠًﺎ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺇﺫَﺍ ﺻَﻠَّﺎﻩُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﻣَﺎ ﻳَﻠِﻴﻪِ
ﺃَﻭَّﻟًﺎ ﺃَﻭْ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺁﺧِﺮَ ﻓَﺠْﺮٍ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻣَﺎ ﻗَﺒْﻠَﻪُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﺁﺧِﺮًﺍ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻀُﺮُّﻩُ
ﻋَﻜْﺲُ ﺍﻟﺘَّﺮْﺗِﻴﺐِ ﻟِﺴُﻘُﻮﻃِﻪِ ﺑِﻜَﺜْﺮَﺓِ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖِ . ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ،
ﺑﺎﺏ ﻗﻀﺎﺀ ﺍﻟﻔﻮﺍﺋﺖ - 2/538
ভাবানুবাদঃ-উমরী কাযা নামায
আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে। যদি সেটা
নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায
কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে আদায় করে নিবে।
যেমন,
ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা
হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে,
আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে,
সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম
ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে
থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায
বাকি ছিলো, সেগুলোর
প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই
এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায
কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের
কাযা আদায় করা যাবে। (রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)
এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায
সমূহের ক্বাযা আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব,
ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই
আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/629
যত দিনের ইচ্ছে কাযা আদায়
করা যাবে। কোন সমস্যা নেই।
উমরী কা’যার নামায সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.ifatwa.info/968
৩.
জ্বী না। আপনি সুন্নাত সহকারে ধীরে ধীরে কাযা করতে থাকবেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে ৩/৪ রাকাতে
সূরা ফাতেহা ছেড়ে দেওয়া মোটেও উচিত হবে না।