আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
346 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
নিরুপায় হয়ে আবার প্রশ্ন করছি, অনুগ্রহ করে ক্ষমা করবেন এবং একটু দ্রুত উত্তর দিবেন।

"আসসালামু আলাইকুম, আজ দুপুরের দিকে আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে সে বলে আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। আমার সাথে থাকতে ইচ্ছুক নয় সে। পরশু থেকে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল তাই সে এমন টা বলেছে। গতকালও সে এমন বলেছে, তাই আমার মন খারাপ হয়ে মেসেজে লিখে ফেলছি তাহলে বিয়ে করো অন্য কাউকে। নিয়ত কি এমন কিছু  মাথায় আসেনি।
আমাদের কি তালাক হয়ে গেছে?"

গতকাল আমার স্বামী এই প্রশ্নটি করায় উত্তর দেওয়া হয় আমাদের তালাক হয়নি। কিন্তু উত্তরের সাথে যে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে সেখানে রেফারেন্স এর শেষ প্যারায় নিম্নোক্ত কথা গুলো আছে-
"আর যদি মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না হয়,বরং রাগ ও ঝগড়াঝাটির অবস্থায় হয়,তাহলে প্রত্যেকটি কেনায়া বাক্য বলার দ্বারাই তালাক হবে,কিন্তু যেসব বাক্য দিয়ে গালি গালাজ উদ্দেশ্য করা হয়,সেসব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।"

এটা দেখার পর সে একটু চিন্তিত, ভয় পাচ্ছে কারন সে কোনভাবেই স্মরন করতে পারছে না তার কোন রাগ ছিল কিনা। তবে তালাকের নিয়ত ছিল না এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই তার কারন এটা যে কেনায়া বাক্য তা ই সে জানতো না এবং সে সবসময় বলছে তার কোন নিয়ত ছিল না।
কিন্তু রাগ ছিল নাকি অভিমান সেটা কোনভাবেই মনে করতে পারছে না।
যদি স্ত্রীর ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে বা রাগ থেকে নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে ফেলে তবে কি তালাক হয়ে যায়?
(বিঃদ্রঃ আমার স্বামী একটু সরল প্রকৃতির, গুছিয়ে কথা বলতে পারে না, আমি খেয়াল করেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ই সে কথা বলার ক্ষেত্রে আমাকে অনুসরণ করে, আর আমি এর আগে বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার রাগ করে বলেছিলাম আমাকে ছেড়ে দাও,আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো। আমার ধারণা সে ঐ মুহুর্তে কোন কিছু না ভেবেই আমি আগে এমন বলেছি জন্য অভিমান থেকে বলে ফেলেছে করন সে কোথায় কি কথা বলতে হয় ততটা বুঝে না,  আমার কথা গুলো ই বলে প্রায় ই)

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

https://ifatwa.info/1049/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

রাগের অবস্থা


وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.

রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
রাগের অবস্থায় স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলে, "তাহলে বিয়ে করো অন্য কাউকে"। 
এক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে।
★কেননা শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  
قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...