আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
নিরুপায় হয়ে আবার প্রশ্ন করছি, অনুগ্রহ করে ক্ষমা করবেন এবং একটু দ্রুত উত্তর দিবেন।
"আসসালামু আলাইকুম, আজ দুপুরের দিকে আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে সে বলে আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হয় না। আমার সাথে থাকতে ইচ্ছুক নয় সে। পরশু থেকে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল তাই সে এমন টা বলেছে। গতকালও সে এমন বলেছে, তাই আমার মন খারাপ হয়ে মেসেজে লিখে ফেলছি তাহলে বিয়ে করো অন্য কাউকে। নিয়ত কি এমন কিছু মাথায় আসেনি।
আমাদের কি তালাক হয়ে গেছে?"
গতকাল আমার স্বামী এই প্রশ্নটি করায় উত্তর দেওয়া হয় আমাদের তালাক হয়নি। কিন্তু উত্তরের সাথে যে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে সেখানে রেফারেন্স এর শেষ প্যারায় নিম্নোক্ত কথা গুলো আছে-
"আর যদি মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না হয়,বরং রাগ ও ঝগড়াঝাটির অবস্থায় হয়,তাহলে প্রত্যেকটি কেনায়া বাক্য বলার দ্বারাই তালাক হবে,কিন্তু যেসব বাক্য দিয়ে গালি গালাজ উদ্দেশ্য করা হয়,সেসব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।"
এটা দেখার পর সে একটু চিন্তিত, ভয় পাচ্ছে কারন সে কোনভাবেই স্মরন করতে পারছে না তার কোন রাগ ছিল কিনা। তবে তালাকের নিয়ত ছিল না এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই তার কারন এটা যে কেনায়া বাক্য তা ই সে জানতো না এবং সে সবসময় বলছে তার কোন নিয়ত ছিল না।
কিন্তু রাগ ছিল নাকি অভিমান সেটা কোনভাবেই মনে করতে পারছে না।
যদি স্ত্রীর ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে বা রাগ থেকে নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে ফেলে তবে কি তালাক হয়ে যায়?
(বিঃদ্রঃ আমার স্বামী একটু সরল প্রকৃতির, গুছিয়ে কথা বলতে পারে না, আমি খেয়াল করেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ই সে কথা বলার ক্ষেত্রে আমাকে অনুসরণ করে, আর আমি এর আগে বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার রাগ করে বলেছিলাম আমাকে ছেড়ে দাও,আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো। আমার ধারণা সে ঐ মুহুর্তে কোন কিছু না ভেবেই আমি আগে এমন বলেছি জন্য অভিমান থেকে বলে ফেলেছে করন সে কোথায় কি কথা বলতে হয় ততটা বুঝে না, আমার কথা গুলো ই বলে প্রায় ই)