জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدخلِ الحمّامَ بِغَيْر إِزارٍ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يدْخل حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَجْلِسُ عَلَى مَائِدَةٍ تُدَارُ عَلَيْهَا الْخمر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ইযার (লুঙ্গি) ব্যতীত গোসলখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার সহধর্মিণীকে গোসলখানায় প্রবেশ না করায় এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন এমন খাবার মাজলিসে না বসে, যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়।
(তিরমিযী ২৮০১, নাসায়ী ৪০১ ইরওয়া ১৯৪৯, সহীহুল জামি‘ ৬৫০৬, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ১৯২৫, শু‘আবুল ঈমান ৫৫৯৬, মুসনাদে আহমাদ ১৪৬৫১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১৬৪, সহীহুল জামি‘ ৬৫০৬।)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، أَخْبَرَنَا أَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ تَخْتَلِفُ أَيْدِينَا فِيهِ.
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রের পানি দিয়ে এভাবে গোসল করতাম যে, তাতে আমাদের দু’জনের হাত একের পর এক পড়তে থাকতো। (বুখারী ২৬১.২৫০; মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩১৯, ৩২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
১ম হাদীসে স্ত্রীকে নিয়ে গোসল খানায় যাওয়া হতে নিষেধ করা হয়েছে,আর ২য় হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাঃ ও তার স্ত্রী এক সাথে ফরজ গোসল করেছেন মর্মে বলা হয়েছে।
★উভয় হাদীসকে সামনে রেখে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেন যে স্বামী স্ত্রী এক সাথে গোসল করা জায়েজ আছে।
তবে স্বামী স্ত্রী একসাথে বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করা হতে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনুৎসাহিত করেছেন।
(০২)
এক্ষেত্রে দাঁড়ির প্রকাশ্য অংশ ধোয়া আবশ্যক, গোড়ায় পানি পৌছানো আবশ্যক নয়,তবে খিলাল করা আবশ্যক।
(০৩)
জরুরি নয়,এটি সুন্নাত
(০৪)
স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধের সাথে তালাকের কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে এখানে আমরা মাসয়ালাটি ভালোভাবে বুঝে নেইঃ-
★মূলত দেনমোহর তো বিবাহের সাথেই পরিশোধ করতে হয়।
তারপরেও কাহারো ক্ষেত্রে যদি বাকি থাকে,সেক্ষেত্রে তাহা ঋন হিসেবে থেকে যায়,যাহা সক্ষম হলে দ্রুত পরিশোধ কাম্য।
কাহারো বিবাহে যদি দেনমোহর পরিপূর্ণ ভাবে পরিশোধ না করা হয়,সেক্ষেত্রে সে স্ত্রীকে তালাক দিলে সেই তালাকের সাথে যেহেতু তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে,তাই অনতিবিলম্ব ঋন (দেনমোহর) পরিশোধ এর আবেদন স্ত্রী করে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে স্ত্রী আরো সময় সুযোগ দিলেও দিতে পারে,সেটি তার ব্যাপার।
(০৫)
না,এতে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবেনা।
এর সাথে স্ত্রীর তালাকের কোনো সম্পর্ক নেই।
(০৬)
শুধু কালামায়ে শাহাদাত পড়লেই যথেষ্ট।
(০৭)
বিষয়টি নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
তবে সতর্কতামূলক গোসল করে নেয়াই উচিত।
বিস্তারিত জানুনঃ-