জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
হাদীসে বেগানা নারীকে বলা হয়েছে ‘আওরত’ যার অর্থ এমন বস্ত্ত, যা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা উচিৎ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
المرأة عورة فإذا خرجت استشرفها الشيطان
নারী হল ‘আওরত’। (অর্থাৎ যার লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা উচিৎ।) নারী যখন ঘর থেকে বের হয় (নিজেকে মানুষের সামনে প্রকাশ করে) তখন শয়তান তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৭৩
,
নারীর পোষাক যেন আটসাঁট ও উগ্র না হয় এবং ভাবভঙ্গি ও চালচলন যেন অশালীন না হয়,এমন পোশাক না পড়া,যেটা অন্যকে নিজেদের দিকে আকর্ষিত করে,যেটা পড়িধান করেও পোশাক না পড়িধানের মতোই মনে হয়, -এ বিষয়ে হাদীসে সতর্ক করা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
... نساء كاسيات عاريات مميلات مائلات
কতক নারী আছে যারা পোষাক পরেও নগ্ন, যারা (পরপুরুষকে) আকর্ষণকারী ও (পরপুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট। যারা বুখতী উটের হেলানো কুঁজের মতো মাথা বিশিষ্ট। এরা জান্নাতের সুবাস পর্যন্ত পাবে না।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২১২৮; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৮৬৬৫
,
আবু হুরায়রা রা. ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
صنفان من أهل النار لم أرهما تيجان بأيديهن سياط يضربون بها الناس يعني ظلماً ونساء كاسيات عاريات مائلات مميلات رؤوسهن كأسمنة البخت المائلة لا يدخلن الجنة ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا
“জাহান্নাম বাসী দুটি দল রয়েছে- যাদেরকে আমি এখনো দেখি নি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে। তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে। তাদের মস্তক উটের পিঠের কুজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।” [মুসলিম : ২১২৮]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, মহিলাদের মোজা ব্যবহার এজন্য করতে হয় যে,যাতেকরে শারীরিক সৌন্দর্য প্রদর্শিত না হয়।
সুতরাং মহিলাদের জন্য বাহিরে বের হওয়ার সময়
প্রশ্নে উল্লেখিত স্কীন কালারের মোজা পড়িধান করা নাজায়েজ।
এটার দ্বারা পর্দার বিধান মানা হবেনা,বরং আরো গুনাহ হবে।
,
আরো জানুনঃ