আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
১. আসসালামু আলাইকুম https://ifatwa.info/80587/ এই লিংক এর তালাকের অধিকার সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী আমার কোন তালাকের অধিকার নাই তাই তো শায়েখ?
২। আমি কিছু মানুষের নামে গীবত করেছি তারা হলো শাশুড়ী, শ্বশুর, ননদ, এবং তার স্বামী। গীবত মানে তারা খারাপ কথা বললে বা আমার তাদের কোন কিছু খারাপ লাগলে আমার মাকে গিয়ে বলা। মাঝে মধ্যে তাদের বদ অভ্যাস গুলোও বলছি মাকে। আমার স্বামীর ও কিছু কিছু বিষয় বা কথা খারাপ লাগলে,  আমার মাকে গিয়ে বলা।  মনের দূঃখ গুলো হালকা হতো। এখন তাদের কাছে ক্ষমা চাইলে তারা বলে ক্ষমা করে দিবো। দিলাম বলে না। এখন ক্ষমা কিভাবে পাবো? তাদের গীবত করেছি এটা তো বলা যাবে না।
৩. কাযা রোজা আছে।  আইয়ামে বীজের রোজা রাখা যাবে কি?
৪. আমি জানতাম না যে হায়েজ হলে কাযা রোজা গুলো রাখতে হয়। আমি যখন জানতে পারলাম সারাজীবন এর কাযা রোজা হিসাব করে দৃঢ়ভাবে যেই সংখ্যা টা পেলাম তাহলে ৭৮। এখন আমার কাযা কি আদায় হবে যদি এই সংখ্যার কম বেশি হয়? কারণ এটা দৃঢ় ভাবে মনে হয় আমি তো আসলে জানতাম না।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উক্ত প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার কোনো তালাকের অধিকার নাই।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় এসেছেঃ

(إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ) গীবতের কাফফারার মধ্য হতে এটি একটি। অর্থাৎ যথাযথভাবে তাওবাহ্ করার পর গীবতের কাফফারার মধ্যে একটি হচ্ছে :

(أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ) তুমি যার গীবত করেছ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

(تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ) এ কথা বলে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করে দাও। (এখানে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যদি গীবতকারী দলবদ্ধ জামা‘আত হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে অথবা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি লক্ষ্য করে)

হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা তখন হবে যখন গীবত তার নিকট না পৌঁছে। যদি গীবত তার কাছে পৌঁছে থাকে তাহলে অবশ্যই তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি নিতে হবে এভাবে : তার নিকট গিয়ে উক্ত কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইবে। যদি তা করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিজ্ঞা করবে যে, যখনই তাকে পাবে তার নিকট গিয়ে ক্ষমা চাইবে। যদি সে ক্ষমা করে দেয় তাহলেই তার ওপর থেকে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যদি এ সমস্ত কাজ করতে অপারগ হয় গীবতকৃত ব্যক্তির মারা যাওয়ার কারণে বা তার অনুপস্থিতির কারণে সেক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া কামনা করবে এবং প্রতিপক্ষকে নিজ দয়ায় যেন সন্তুষ্ট করে দেন সেই প্রার্থনা করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাহারা যেহেতু বলেছে যে ক্ষমা করে দিবো,সুতরাং আর চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 
তবে ভবিষ্যতে আর তাদের গীবত করবেননা।

এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করবেন, "হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো"।

(০৩)
হ্যাঁ, আইয়ামে বীজের রোজা রাখা যাবে।
,
★তবে কাজা রোযা রাখাই আপনার জন্য অতিব জরুরী। 

আইয়ামে বীজের রোজা না রাখলে কোনো গুনাহ হবেনা,কোনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবেনা।

তবে কাজা রোযা আদায় না করে মারা গেলে আল্লাহর কাছে কঠিন ভাবে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। 

(০৪)
এটিই যেহেতু আপনার মনের প্রবল ধারণা,  তাই বাস্তবে এর চেয়ে কম বেশি হলেও আল্লাহ তায়ালা বিষয়টি বিবেচনা করে মাফ করবেন।

তাই আপনি উক্ত ৭৮ টি কাজা রোযা আদায়ের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...