ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ
আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে, তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর নামকরণ করো। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৪৮, সুনানে দারিমী, হাদীস নং-২৭৩৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮২৭]
ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। (মুসনাদে বাযযার,আলবাহরুয যাখখার-৮৫৪০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) অংকন নাম রাখলে গোনাহ হবে না। কেননা এখানে কুফরির কিছু নেই। তবে এই নাম সুন্দর নয়।সুন্দর যেই ইসলামী নাম আপনার রয়েছে, সেই নামেই নিজেকে পরিচয় দিবেন।
(২)
করো নাম যদি আব্দুল কাদির, আব্দুল ওয়াদুদ ইত্যাদি হয় আর কেউ যদি খালি কাদির বা ওয়াদুদ বলে ডাকে (অনিচ্ছা কৃত) তাহলে গোনাহ হবে না।হ্যা, ইচ্ছাকৃত ডাকলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩)
কোন শিক্ষক যদি সহশিক্ষা আছে এমন প্রতিষ্ঠানে, বৈধ সাবজেক্টের ক্লাস বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে তাহলে সেটা কুফুরি হবে না।
(৪)
যারা প্রশাসনিক সেক্টরে থাকে তাদেরকে মাঝে মাঝে বাল্যবিয়ে বিরোধী বক্তব্য দিতে হয়। এই ক্ষেত্রে তারা যদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্য বিষয়ে কথা বলে মূল বক্তব্যটা স্কিপ করে যায় তাহলেও গোনাহ হবে না।