ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাফওয়ান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু সাফওয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ صَفْوَانَ - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ - وَكَانَتْ تَحْتَهُ الدَّرْدَاءُ قَالَ : قَدِمْتُ الشَّامَ ، فَأَتَيْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فِي مَنْزِلِهِ ، فَلَمْ أَجِدْهُ ، وَوَجَدْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ ، فَقَالَتْ : أَتُرِيدُ الْحَجَّ الْعَامَ ؟ فَقُلْتُ : نَعَمْ . قَالَتْ : فَادْعُ اللَّهَ لَنَا بِخَيْرٍ ، فَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ : ( دَعْوَةُ الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ لِأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ مُسْتَجَابَةٌ ، عِنْدَ رَأْسِهِ مَلَكٌ مُوَكَّلٌ ، كُلَّمَا دَعَا لِأَخِيهِ بِخَيْرٍ قَالَ الْمَلَكُ الْمُوَكَّلُ بِهِ : آمِينَ ، وَلَكَ بِمِثْلٍ ) قَالَ : فَخَرَجْتُ إِلَى السُّوقِ ، فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ ، فَقَالَ لِي مِثْلَ ذَلِكَ يَرْوِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ )
তিনি বলেন, আমি সিরিয়াতে আবু দারদা (রাযিঃ) এর ঘরে গেলাম। আমি তাকে ঘরে পেলাম না; বরং সেখানে উম্মু দারদাকে পেলাম। তিনি বললেন, আপনি কি এ বছর হজ্জ পালন করবেন? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর নিকট আমাদের কল্যাণের জন্যে দু’আ করবেন। কেননা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ একজন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকটে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন, যখন সে তার ভাইয়ের জন্য প্রার্থনা করে তখন নিয়োজিত ফেরেশতা বলে থাকে "আমীন এবং তোমার জন্যও অবিকল তাই"।(সহীহ মুসলিম-২৭৩৩)
উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত
عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : ( اسْتَأْذَنْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْعُمْرَةِ فَأَذِنَ لِي وَقَالَ : لَا تَنْسَنَا يَا أُخَيَّ مِنْ دُعَائِكَ ، فَقَالَ كَلِمَةً مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي بِهَا الدُّنْيَا )
তিনি বলেন, আমি ‘উমরাহ করতে যাবার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অনুমতি চাইলে তিনি আমাকে অনুমতি দিয়ে বললেনঃ হে আমার ছোট ভাই! তোমার দু‘আয় আমাদেরকে যেন ভুলো না। পরবর্তীতে ‘উমার (রাঃ) বলেন, তাঁর এ একটি শব্দ আমাকে এতোটা আনন্দ দিয়েছে যে, এর বিনিময়ে সমগ্র দুনিয়ার সম্পদও আমাকে এতোটা আনন্দিত করতে পারতো না। শু‘বাহ (রহঃ) বলেন, পরবর্তীতে আমি মাদীনায় ‘আসিমের সাথে দেখা করলে তিনি আমাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি ‘আমাদেরকে ভুলো না’ এর স্থলে ‘আমাদেরকেও শরীক করো’ বলেছেন।(আবু-দাউদ-১৪৯৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন অন্যজনের নিকট দু'আ চাইতে পারে। এটা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। যদি নিজের ইয়াকিন বিশ্বাস থাকে যে, পরবর্তীতে ঐ ভাইয়ের কথা দু'আতে শরীক করা হবে, বা ঐ ভাইয়ের জন্য দু'আ করবো, তাহলে এমতাবস্থায় পরবর্তীতে দু'আ করাই উত্তম হবে।কিন্তু যদি পরবর্তীতে দু'আ করা হবে কি না? সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস না থাকে, তাহলে সাথে সাথেই তার জন্য কল্যাণকামনা করে দু'আ করা।