আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
সম্মানিত শাইখ,
প্রশ্ন:- একজন বোনের হায়েজ শুরুতে অনিয়মিত ছিলো এরপর নিয়মিত হয়, নিয়মিত সময় কালে উনার ১৫ দিন করে ক্লিন থাকার পর আগামী মাসের শুরুর তারিখে কিংবা অনেক সময় চলতি মাসের শেষের দিকের তারিখে করে হায়েজ হতো। এর কিছু সময় পর করে উনার ইস্তেহাযা হতে শুরু করে। বর্তমানে মাসের মধ্যে মাত্র ৭/৮ দিন মতো ক্লিন থাকার পর আবার উনি ব্লাড দেখেন। বর্তমানে উনি বুঝতে পারছেন না কোনটা হায়েজ কোনটা ইস্তেহাযা হিসেবে উনি গ্রহণ করবেন। যেহেতু মধ্যেখানে মাত্র ৭/৮ দিন মত ব্যবধান থাকছেন। অন্যদিকে উনার নিয়মিত হায়েজের সময় কালেও সঠিক তারিখে কখনো হায়েজ হয়নি বরং ক'দিন এদিক ওদিক করে হতো অর্থাৎ ১৫ দিন কিংবা তার থেকে ক'দিন বেশি ক্লিন থাকার পর হায়েজ হয়ে থাকতো। সমস্যা হচ্ছে উনার যেহেতু নিয়মিত সময় কালে চলতি মাসের শেষ তারিখেও হায়েজ হয়ে থাকতো , উনি বর্তমানে কোনটাকে হায়েজ এবং কোনটাকে ইস্তেহাযা বলে গণ্য করবেন? অর্থাৎ উনি কী চলতি মাসের শেষ তারিখ থেকে হায়েজ গণনা করবেন না আগামী মাসের শুরুর তারিখ থেকে হায়েজ গণনা করবেন?  দিনক্ষণ উনি গণনা করতে পারছেন না এবং বুঝতেও পারছেন না। অনুগ্রহ করে বিষয়টির সমাধান করলে খুব উপকৃত হবো أن شاء الله ।


আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুক এবং আপনার পথ সহজ করুক।
أمين ثم أمين
جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(৮) মাসআলাঃ 
একজন মেয়েলোকের হামেশা প্রত্যেক মাসে চারি দিন স্রাব হইত; কিন্তু হঠাৎ এক মাসে পাঁচ দিন স্রাব দেখা গেল এবং তার পরের মাসে পনের দিন স্রাব হইল। অতএব, যে মাসে পনর দিন স্রাব দেখা গিয়াছে সেই মাসের পূর্বের মাসে পাঁচ দিন স্রাব হইয়াছে। এই পনের দিনের মধ্যে হইতে সেই হিসাবে পাঁচ দিনকে হায়েয গণ্য করিতে হইবে; অবশিষ্ট দশ দিন ইস্তেহাযায় গণ্য হইবে। পূর্বেকার অভ্যাস ধর্তব্য নহে। মনে করিতে হইবে যে, অভ্যাস পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে এবং পাঁচ দিনের অভ্যাস হইয়াছে। এমতাবস্থায় দশ দিন দশ রাত পার হওয়ার পর গোছল করিয়া নামায শুরু করিবে এবং গত পাঁচ দিনের নামায কাযা পড়িবে।

(১০) মাসআলাঃ
একটি মেয়ে প্রথম প্রথম ঋতুস্রাব দেখিল। ইহার পূর্বে আর তার ঋতুস্রাব অর্থাৎ ঋতু হয় নাই। অতএব, যদি দশ দিন বা তার চেয়ে কম স্রাব হয়, তবে যে কয় দিন স্রাব হইবে, সব দিনই তাহার হায়েযের মধ্যে গণ্য হইবে। আর যদি দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী স্রাব হয়, তবে দশ দিন দশ রাত পুরা হায়েযের মধ্যে গণ্য হইয়া অবশিষ্ট যে কয় দিন বা ঘণ্টা বেশী হয়, তাহা ইস্তেহাযার মধ্যে গণ্য হইবে। (সুতরাং এই মেয়ের দশ দিন দশ রাত পূর্ণ হওয়া মাত্র গোছল করিতে হইবে এবং নামায পড়িতে হইবে।)

(১১) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোকের প্রথমবারেই রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়া আর বন্ধ না হয়, একাদিক্রমে কয়েক মাস যাবৎ জারী থাকে, তবে তাহার যে দিন হইতে রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়াছে সেইদিন হইতে দশ দিন দশ রাত হায়েয ধরিতে হইবে এবং পরের বিশ দিন এস্তেহাযা ধরিতে হইবে। এইরূপে প্রত্যেক মাসে তাহার দশ দিন হায়েয, বিশ দিন এস্তেহাযা হিসাব করিতে হইবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পূর্বের আদত মাসের যে তারিখ থেকে যতদিন হায়েয হত, ততদিন হায়েয হাসেবে ধর্তব্য হবে। এখন মাসের শেষ থেকে রক্তস্রাব শুরু হলে মাসের শেষ থেকেই হায়েয গণনা শুরু করবেন।আর মাসের শুরু থেকে রক্তস্রাব শুরু হলে মাসের শুরু থেকেই হায়েয গণনা শুরু করবেন। ১০ দিনের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হলে পূর্বে যতদিন ছিলো, ততদিন হায়েয এবং অতিরিক্ত দিনসমূহকে ইস্তেহাযা গণ্য করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 166 views
...