বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(৮) মাসআলাঃ
একজন মেয়েলোকের হামেশা প্রত্যেক মাসে চারি দিন স্রাব হইত; কিন্তু হঠাৎ এক মাসে পাঁচ দিন স্রাব দেখা গেল এবং তার পরের মাসে পনের দিন স্রাব হইল। অতএব, যে মাসে পনর দিন স্রাব দেখা গিয়াছে সেই মাসের পূর্বের মাসে পাঁচ দিন স্রাব হইয়াছে। এই পনের দিনের মধ্যে হইতে সেই হিসাবে পাঁচ দিনকে হায়েয গণ্য করিতে হইবে; অবশিষ্ট দশ দিন ইস্তেহাযায় গণ্য হইবে। পূর্বেকার অভ্যাস ধর্তব্য নহে। মনে করিতে হইবে যে, অভ্যাস পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে এবং পাঁচ দিনের অভ্যাস হইয়াছে। এমতাবস্থায় দশ দিন দশ রাত পার হওয়ার পর গোছল করিয়া নামায শুরু করিবে এবং গত পাঁচ দিনের নামায কাযা পড়িবে।
(১০) মাসআলাঃ
একটি মেয়ে প্রথম প্রথম ঋতুস্রাব দেখিল। ইহার পূর্বে আর তার ঋতুস্রাব অর্থাৎ ঋতু হয় নাই। অতএব, যদি দশ দিন বা তার চেয়ে কম স্রাব হয়, তবে যে কয় দিন স্রাব হইবে, সব দিনই তাহার হায়েযের মধ্যে গণ্য হইবে। আর যদি দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী স্রাব হয়, তবে দশ দিন দশ রাত পুরা হায়েযের মধ্যে গণ্য হইয়া অবশিষ্ট যে কয় দিন বা ঘণ্টা বেশী হয়, তাহা ইস্তেহাযার মধ্যে গণ্য হইবে। (সুতরাং এই মেয়ের দশ দিন দশ রাত পূর্ণ হওয়া মাত্র গোছল করিতে হইবে এবং নামায পড়িতে হইবে।)
(১১) মাসআলাঃ
যদি কোন মেয়েলোকের প্রথমবারেই রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়া আর বন্ধ না হয়, একাদিক্রমে কয়েক মাস যাবৎ জারী থাকে, তবে তাহার যে দিন হইতে রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়াছে সেইদিন হইতে দশ দিন দশ রাত হায়েয ধরিতে হইবে এবং পরের বিশ দিন এস্তেহাযা ধরিতে হইবে। এইরূপে প্রত্যেক মাসে তাহার দশ দিন হায়েয, বিশ দিন এস্তেহাযা হিসাব করিতে হইবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পূর্বের আদত মাসের যে তারিখ থেকে যতদিন হায়েয হত, ততদিন হায়েয হাসেবে ধর্তব্য হবে। এখন মাসের শেষ থেকে রক্তস্রাব শুরু হলে মাসের শেষ থেকেই হায়েয গণনা শুরু করবেন।আর মাসের শুরু থেকে রক্তস্রাব শুরু হলে মাসের শুরু থেকেই হায়েয গণনা শুরু করবেন। ১০ দিনের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হলে পূর্বে যতদিন ছিলো, ততদিন হায়েয এবং অতিরিক্ত দিনসমূহকে ইস্তেহাযা গণ্য করবেন।