১)আসসালামু আলাইকুম। আমার ছোট ভাই জায়নামাজে বাতকর্ম(গ্যাস) পাস করেছে।এজন্য কি জায়নামাজ ধুতে হবে?জায়নামাজ না ধুলে কি নামায হবে না?
২)বিয়ের প্রস্তাব আসলে কোন পাত্রের বায়োডাটা বা ছবি দেখে কোন ভাবেই আকর্ষন তৈরি হয়না,এটা নিজের কোন সমস্যা?এমন না যে কোন ছেলে কেই ভালো লাগে না বা বিয়ে করতে চাই না।যে প্রস্তাব গুলো আসে সেগুলো কেমন যেন।ভালো লাগেই না।ইস্তেখারাই বা কিভাবে করবে?কারো সাথে পরামর্শ করার সুযোগ নাই।সবাই তো যে প্রস্তাব আসে সেটাতেই রাজি হতে বলে।
এমনও হয়েছে একেকটা প্রস্তাবের জন্য কয়েকমাস,বছর ধরে ইস্তেখারার নামায পড়ে দুআ করেছি কিন্তু কোন আকর্ষন হলোই না।অথচ ছেলে পক্ষ রাজি ছিল বিয়ের জন্য।মেয়ের ই কোন আকর্ষন তৈরি হলই না।পরে আর সেগুলো তে আগানো হয় নি।ছেলে অন্যত্র বিয়ে করেছে।এরকম অহরহ হচ্ছে। এগুলার সলিউশন কি?
৩)একবার একটা প্রস্তাব এসেছিল। ছেলে গ্রামের কোন মসজিদের খতিব।বেতন ৩ হাজার টাকা।অন্যান্য ভাই,বাবার সাথে একটা ফার্মেসী ভাড়া নিয়ে চালান।কিছু ইনকাম হয়।স্ত্রী কে আলাদা নিয়ে থাকার মত সামর্থ্য নাই। ছেলের মা, ওনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রান্না ঘরেই থাকেন।আত্নীয় স্বজন, ছেলের বোন,বোনের বাচ্চারা এখানে আসে নিয়মিত।সাংসারিক এত কাজকর্ম এসব করে মেয়ের অভ্যাস নাই।
মেয়ে একা পরিবারে বড় হয়েছে,কাজ কর্ম করা লাগে নাই।এখানে কুফুও তে মিলে না।
ওনাদের মাদ্রাসা করার চিন্তা ভাবনা আছে।গ্রামে ছোট একটা মাদরসা করেছেন,টিনের ঘর ধরনের মে বি।দুএক রুমের।সেখানে বেশকিছু বাচ্চারা পড়ে।তাদের খাবার ছেলের মা রান্না করে পাঠায়।মূল বিষয় হলো সারদিনই কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন।এখানে ইনকামের কিছু নাই,মাদ্রাসা কো ইনকামের খাত না সেটা সবাই জানে।যা আসে তার চেয়ে খরচ বেশি।
তারা মাদ্রাসা বড় করতে আগ্রহী ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ। মেয়েদর ও মাদ্রাসা দিতে আগ্রহী।তাদের জায়গা সম্পত্তি কিছুই নেই,যেখানে থাকেন সে জায়গা ছাড়া।
কিন্তু পরিবারের মানুষ গুলো ভাল।ছেলের বাবা নিয়মিত হজ্জ উমরা তে মানুষ আনা নেয়া করেন।এখানে তে ইনকাম মুখ্য না।কারন ওনার ব্যক্তিগত ভাবে হজ্জ উমরার করতে সেটা খরচ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে এই প্রস্তাব টা নিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।
৪)রাসূল সঃ এর স্ত্রী আয়েশা রাঃ সাংসারিক কাজে পারদর্শী ছিলেন না।তাই বলে তিনি তো ওনাকে ছেড়ে দেন নি,সংসার করেছেন।এমনকি সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন।অথচ এখন যদি কোন মেয়ে সাংসারিক কাজে পারদর্শী না হয় তাকে ফাতিমা রঃ এর উদাহরণ দেয়া হয়। সবাইকে তো ফাতিমা রঃ এর উদাহরন দিলে হবে না।সবাই তো সবকাজে পারদর্শী না।সবার সবদিকে আগ্রহ নাই।ঘরের কাজে আগের দিনে এত জটিলতা ছিল না,এখন যেসব জটিলতা আছে।সাংসারিক কাজে পারদর্শী না হলে কি সে মেয়ে বিবাহের অযোগ্য?
৫)মেয়ের জন্য যে প্রস্তাব ই আসে ঘুরে ফিরে মেয়ের বাবার ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন।এটা কেমন বিষয়! কোন আত্নসম্মান বোন সম্পন্ন ছেলে,ছেলের পরিবার তো মেয়ের বাবার সম্পত্তির হিসাব নেয়ার কথা না।মেয়ের জন্য অনেক বাড়ি গাড়ি ওয়ালা প্রস্তাব ও এসেছে, মেয়েটা যদি লোভী হত তাহলে তো সেসব প্রস্তাবে রাজি হয়েই যেত।
রিসেন্টলি আরেকটা প্রস্তাব এসেছে।ছেলে সব কিছু জানার পর নিজে থেকেই মেয়ের বাবার ফ্ল্যাটে থাকার প্রস্তাব দিয়ে বসে।সে ছেলেটা পরিচিত এজন্য অনেক কথা ফ্রি ভাবে শেয়ার করেছে মেয়ের মার সাথে।ছেলেটাকে অন্য কোন প্রস্তাব দিলে মেয়েদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কারনে মানা করে দিচ্ছে কিন্তু যখনই এ মেয়ের কথা বলে না দেখেই বিয়ে করতে রাজি।
কথায় কথায় অন্যান্য প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বলে,বর্তমানে ১ জনের ইনকাম দিয়ে চলা যায় না।মেয়ে যদি জব করে তাহলে হয় বা মেয়ের অবস্থা যদি ভাল থাকে।
এ ছেলেটার বাবা নাই।মা আছে।ছোট বেলা থেকে নিজে পরিশ্রম করে বড় হয়েছে। নিজে দায়িত্ববান না হলে তো এতটুকু আসতে পারত না।জব করে মোটামুটি ভাল।প্র্যাকটিসিং না।তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলে মনে হয় প্র্যাকটিসিং হওয়ার তো কোনদিন সুযোগই পায় নাই।পজেটিভ নেগেটিভ মিলিয়েই আছে এখানে।শুরুতেই সম্পদের হিসাব নিকাশ মেয়ের তো ভালো লাগছে না।
এই ছেলেকে অন্য প্রস্তাব দেখানো হয়েছে,সে মেয়েও জব করে না,ঢাকাতে তাদের কিছু নেই।তবে পরিবার ভাল।ছেলে রাজিনা।ঘুরে ফিরে সম্পদের বিষয় তো চলে আসতেছে..
এ ধরনের প্রস্তাব গুলো কি ঠিক?শুরুতেই তো নিয়ত এ সমস্যা মনে হচ্ছে। মেয়ের পক্ষ যদি নিজে থেকে বলে সেটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু ছেলের পক্ষ থেকে তো এমন কথা আসার কথা না।আপনার মতামত জানাবেন প্লিজ।
৬)একজন মেয়ে বিবাহের জন্য ছেলে সম্পদ দেখবে?একজন ছেলের যদি সামর্থ্য না থাকে সে স্ত্রীর দায়িত্ব কীভাবে নিবে?সেক্ষেত্রে পাত্রের সম্পদ বা সামর্থ্যের বিষয় চলে আসে কিন্তু পাত্রীর বাবার সম্পদ পাত্র হিসাব করে কি করবে?
বিষয় গুলো কনফিউশান তৈরি করে।আপনারা কোন মতামত বা সাজেশন দিতে পারেন ইনশাআল্লাহ। কিভাবে ডিল করবে?
পাত্রদের সোশাল মিডিয়া একাউন্টে গান বাজনা,পার্টি,ছেলে মেয়ে একসথে ছবি তোলা।এসব দেখে তো ভাল লাগেই না।সেখানে ইস্তিখারা টা করবেইবা কেন?মেয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে ৩০ বছর।সবাই প্রেশার দিচ্ছে বিয়ে কেন করছে না।অথচ এমন প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত?
মেয়ে পর্দা করে,নামায রোজা ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ। মেয়ের নিজের যে ভুল হয় না,বা মাঝেমধ্যে গান বাজনা বা ইউটিউবে যায় না এমন না।মাঝেমধ্যে নিজের নফসের সাথে না পেরে উঠে করে ফেলে।এজন্য সে অনুতপ্ত। ভুল করে,আবার বন্ধ রাখে,মাফ চায় আল্লাহর কাছে।কিন্তু যেসব প্রস্তাব আসে সেগুলো তো ওপেন ভাবেই এসবের সাথে জড়িত
এসব প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত? মেয়েটার কি করনীয়?