ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ্ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ " . قَالَ أَحْمَدُ " ثُمَّ يَتَوَضَّأُ فِيهِ فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে, অতঃপর সে স্থানে গোসল করে।
ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেছেনঃ অতঃপর সেখানে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে। কেননা অধিকাংশ অস্ওয়াসা (সন্দেহ) এটা হতে সৃষ্টি হয়ে থাকে- (নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)।
মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় ইবনুল মালাক রাহ এর বক্তব্যকে এভাবে তুলে ধরেন যে,
قَالَ ابْنُ الْمَلَكِ: لِأَنَّهُ يَصِيرُ ذَلِكَ الْمَوْضِعُ نَجِسًا فَيَقَعُ فِي قَلْبِهِ وَسْوَسَةٌ بِأَنَّهُ هَلْ أَصَابَهُ مِنْهُ رَشَاشٌ أَمْ لَا؟ وَقَالَ ابْنُ حَجَرٍ: لِأَنَّ مَاءَ الطَّهَارَةِ حِينَئِذٍ يُصِيبُ أَرْضَهُ النَّجِسَةَ بِالْبَوْلِ ثُمَّ يَعُودُ إِلَيْهِ فَكُرِهَ الْبَوْلُ فِيهِ لِذَلِكَ، وَمِنْ ثَمَّ لَوْ كَانَتْ أَرْضُهُ بِحَيْثُ لَا يَعُودُ مِنْهَا رَشَاشٌ أَوْ كَانَ لَهُ مَنْفَذٌ بِحَيْثُ لَا يَثْبُتُ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْبَوْلِ لَمْ يُكْرَهِ الْبَوْلُ فِيهِ إِذْ لَا يَجُرُّ إِلَى وَسْوَاسٍ لِأَمْنِهِ مِنْ عَوْدِ الرَّشَاشِ إِلَيْهِ فِي الْأَوَّلِ وَلِطُهْرِ أَرْضِهِ فِي الثَّانِي بِأَدْنَى مَاءٍ طَهُورٍ يَمُرُّ عَلَيْهَا اهـ. وَهُوَ يُؤَيِّدُ اعْتِرَاضَنَا عَلَى الطِّيبِيِّ، وَكَأَنَّهُ ذُهِلَ عَنْ كَلَامِ الطِّيبِيِّ أَوِ انْتَقَلَ إِلَى كَلَامِ النَّوَوِيِّ، وَلِذَا سَكَتُّ عَنْهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. (مرقاة المفاتيح ج١- ص:٣٨٤)
সারমর্মঃ
প্রস্রাব এবং অজু উভয়ের পানি প্রবাহির হওয়া নালা বা রাস্তা যদি একই হয়, তাহলে প্রস্রাবের পর যখন সেখানে অজু করা হবে, তখন মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা আসতে পারে যে, হয়তো প্রস্রাবের চিটা এসে কাপড়ে লেগে গেলো কি না? এমন ওয়াসওয়াসা আসতে পারে।এটাই স্বাভাবিক বিষয়। এজন্য সেখানে অজু করা নিষেধ।
কিন্তু যদি প্রস্রাব আর অজুর পানি প্রবাহিত হওয়ার রাস্তা পৃথক থাকে, তাহলে একই ছাদের নিচে উভয়টির ব্যবস্থা থাকা সত্বেও অজু করা তখন সেখানে নিষেধ হবে না। যেমন আজকালকার বাথরুম। যেখানে প্রস্রাবের রাস্তা এবং অজুর রাস্তা পৃথক পৃথক। এ সত্বেো উক্ত বাথরুমগুলোতে অজু করা নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না। হ্যা, সেটা ভিন্ন কথা যে, বাথরুমে বিসমিল্লাহ বলা যাবে না।
(২)
যেই সব পুরুষ ভাইয়েরা মেয়েদের কাপড়ের ব্যবসা করে তারা ঐ কাপড় ক্রেতাকে প্রয়োজনে পরিধান করে দেখানোর বৈধতা থাকলেও এতেকরে সুষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন একজন ক্রেতা সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না। সুতরাং হয়তো পাশে এমন কোনো ব্যবস্থা রাখুন যেখানে মেয়েরা কাপড় পরিধান করে দেখতে পারে।
(৩)
নামাজে কাতার সোজা করতে বড়দের হাত ধরে অথবা ইশারা দিলে বেয়াদবি না হলেও এমন পরিস্থিতিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করবেন,যাতেকরে বড়রা বড়দেরকে আহবান করে নেয়।
(৪) খরগোশ এবং পাঠার গোস্ত খাওয়া জায়েয।
(৫)
ফজরের সময় আযানের পর পুনরায় নামাযের জন্য ডাকাডাকি করা উত্তম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অন্যান্য নামাযের জন্যও এরূপ তাসবীবের অনুমতি আছে। কারণ বর্তমানে এ ফিতনার যুগে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের ক্ষেত্রেই মানুষের মাঝে উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়। [প্রমাণ: ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ২:৩৬২ # ফাতাওয়া দারুল উলুম ২:১০১/৯৮,বাদায়েউস সানায়ে- ১/১৪৮, হিদায়া- ১/৮৯, রদ্দুল মুহতার- ১/৩৮৯
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আযানের পরেও রুমমেট অথবা বাহিরের কাউকে নামাজের জন্য ডাকা যাবে।
(৬) যদি নিশ্চিত ভাবে জানা থাকে যে, একটি রুমে শুধুই পুরুষ মানুষ ই আছে(যেমন- পুরুষদের ম্যাচ), তাহলেও অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। েববং রুমের ভিতরে তাকানো যাবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَىٰ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।( সূরা নূর-২৭)
(৭) একজম প্রাপ্ত বয়স্ক যোগ্য ব্যক্তি ইমাম এবং একজন নাবালক ছেলে মুক্তাদি হলে জামাত হবে।
إذا زاد علی الواحد فی غیر الجمعة فہو جماعة وإن کان معہ صبي عاقل (ہندیہ: ۱/۱۴۱) ۔