আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,183 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।

দাওয়াহর উদ্দেশ্য ছাড়া হিন্দু প্রতিবেশীর বাসায় গিয়ে কি কিছু খাওয়া জায়েজ আছে?

কোনো প্রাণীর গোস্ত না, সেমাই, ফল এই ধরণের খাবার। আর ওদের উপার্জন কি হালাল?

জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

+1 vote
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কোন অমুসলিমের দাওয়াত  যাতে  গোস্ত জাতীয় বস্তু তথা হাসঁ, মুরগী না থাকে তাহলে তা খাওয়া জায়েজ আছে। তবে একে অভ্যাসে পরিণত করা ভাল নয়। খুবই গর্হিত কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন। তাদের রান্নাকৃত খাবার খেয়েছেন।
তাদের দেওয়া উপহারও গ্রহণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)

অনুরুপভাবে তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)

فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69

যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাক্যা জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত পশু ব্যাতিত।     

★বিধর্মীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ অমুসলিমদের দেয়া দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের দেয়া হাদিয়াও গ্রহণ করেছেন।

 (বুখারী ২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)

★★সুতরাং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া ফল, তাদের রান্না করা খাবার যেমন, সেমাই, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েজ। তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে।

পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে। (তাদের কোনো উপাস্যের জন্য উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে। )
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নাপাক জিনিস মিশ্রিত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে হিন্দুদের বাসায় গিয়ে ফল, তাদের বানানো সেমাই খাওয়া জায়েয আছে।     
এই দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ আছে।     
তবে একে অভ্যাসে পরিণত করা ভাল নয়। খুবই গর্হিত কাজ।
,
আপনি যার বাসায় দাওয়াত খাবেন,তাদের উপার্জন  হালাল নাকি হারাম,সেটি আপনিই তাহকীক (অনুসন্ধান)  করে নিবেন।
জানবেন যে কোনো সূদী কারবারে জড়িত কিনা,বা অবৈধ কোনো কাজে জড়িত কিনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...