জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
১
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।
২
উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی
আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
৩
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।
উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।
উপরোক্ত তিনটি শর্ত পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
আরো জানুনঃ-
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি বা তাদের উকিল প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যেহেতু অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে মেয়েটি নাবালেগাহ হয়ে থাকলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
আর মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয় হলো যেই ব্যাক্তি আপনার পক্ষ থেকে উকিল হয়ে মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলো,সেই ব্যাক্তিকে কি আপনি বিবাহের প্রস্তাবের জন্য উকিল বানিয়েছিলেন?
আপনি কি তাকে সেই মেয়েটির সাথে নিজের বিবাহ দিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন?
যদি দায়িত্ব দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে সে আপনার পক্ষ থেকে উকিল,তাই আপনার পক্ষ থেকে তার প্রস্তাব পেশ করা মানে আপনি নিজেই প্রস্তাব পেশ করার মতো।
সুতরাং যেনো এমন হলো যে আপনি নিজেই প্রস্তাব পেশ করেছেন,আর সেই মেয়েকে প্রশ্নে উল্লেখিত সাক্ষীদের সামনে কবুল বলেছে,সুতরাং এই বিবাহ হয়ে যাবে।
টেনশনের কিছু নেই।
তবে আপনি যদি কাউকে বিবাহের দায়িত্ব না দিয়ে থাকেন,বা বিবাহের উকিল না বানিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে বিবাহটি মওকুফ থাকবে।
পরবর্তীতে মোহরানা,স্ত্রীর সাথে স্বামী সুলভ আচরন ইত্যাদি দ্বারা যেহেতু আপনার সম্মতি প্রকাশ পেয়েছে,সুতরাং সেক্ষেত্রেও বিবাহ সহীহ হয়ে যাবে।
চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে।