আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
এক জন বোনের হয়ে প্রশ্ন করছি আশা করি তাড়াতাড়ি উত্তর পাওয়া যাবে ইং শা আল্লহ

১.  ২০১২ সালের ঘটনা। তখন দীন সম্পর্কে তেমন জ্ঞান ছিল না. একটি বিশেষ ঘটনায় আমার আশানুরূপ ফলাফল চেয়ে আমি আল্লাহর কাছে ২ রাকাত নফল নামাজ মানত করি. শেষ পর্যন্ত ফলাফল বিপরীতে যায় এবং আল্লহুম্মাগফিরলী, আমি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়/ ভেঙে পড়ি যে আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আর নামাজ পরব না, আল্লহুম্মাগফিরলী। এর পরে কয়েক ওয়াক্ত আমি নামাজ পড়িও নাই. অনেক আগের কথা স্পষ্ট মনে নাই, খালি একটুকু খেয়াল আছে যে, নামাজের সময় আমার অনেক কষ্ট লাগতো, কাঁদতাম, তাও কয়েক দিন পড়ি নাই. এর পর কিভাবে কি হলো ঠিক মনে নাই, খালি এটুক মনে আছে, কাঁদতে কাঁদতেই আমি আবার নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ আমার খুব কষ্ট লাগতো যে আমি নামাজ পড়ছি না, কান্না পেতো। তো এভাবেই আমি আবার নামাজ পড়া শুরু করলাম। তখন কলেমা পড়সি কি পড়ি নাই তা ঠিক মনে নাই. আর তখন অতো জ্ঞান-ও ছিল না.

এরপর আলহামদুলিল্লাহ আমি ধীরে ধীরে ৫ ওয়াক্ত নামাজে খুবই মনোযোগী হয়ে যাই. ধীরে ধীরে দীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে শুরু করি.
এক পর্যায়ে উপরের ঘটনা আমার স্মরণ হয় এবং আমি নিজে নিজেই কালেমা পড়ি (লা ইলাহা পড়া আরকি) এবং আল্লাহর কাছে দুআ করি যেন আমাকে এক জন মুসলিম হিসেবে কবুল করে নেন. এটা ঠিক কবের ঘটনা আমার মনে নাই, তবে এরকম বেশ কয়েক বার হয়েছে যে এই ঘটনা মনে করে আমি কান্না-কাটি করে মাফ চাইসি এবং আবারো কালেমা পড়সি.
সম্প্রতি আমি আইওএম এর বেশ কিছু ফ্রি কোর্স করি এবং আলিম কোর্সও ভর্তি হই. সেখানে আমি দাওয়াহ সম্পর্কে বেশ কিছু জানতে পারি এবং সেখান থেকেই আমার এখন সন্দেহ হয় যে, আমি যে নিজে নিজে কালেমা পড়েছি এটা গ্রহণযোগ্য কিনা। নাকি এখন কোনো আলেম-ওলামার কাছে গিয়ে আমাকে কালেমা পড়তে হবে?

২. কেউ যদি কদরের রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের কাযা পরে নেয়, তাহলে কি তার বিগত সকল কাযা আদায় হয়ে যাবে? নাকি তা আলাদা বিষয়? কোনটা কদরের রাত তা তো নির্দিষ্ট জানা নাই, তাই প্রত্যেক সম্ভাব্য রাতেই যদি কাযা পড়ে নেয় তাহলে কি আদায় করা হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
ঈমান নবায়নের জন্য কারো কাছে যাওয়া বা কারো সামনে ঈমান নবায়ন করা শর্ত নয়।বরং অন্তরে পূর্বের ভুল উপলদ্ধি করে কালেমা পড়ে নিলেই ঈমান নবায়ন হয়ে যায়।

(২)
কদরের রাতে ৫ ওয়াক্ত কাযা নামাজ বিগত সকল কা'যা নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে না।তাছাড়া কদরের রাত্রিও তো নির্দিষ্ট নয়। সুতরাং আপনাকে অতীতের সকল কাযা নামায পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
আফুওয়ান উস্তাজ, একটা বিষয় উল্লেখ করা হয় নাই, নামাজকে এভাবে স্বেচ্ছায় বাদ দিলে/ অস্বীকার করলে যে কাফের হয়ে যায়, এটা আপু সম্প্রতি আলিম কোর্স থেকে জানতে পেরেছে। এই বিষয় তা আগে জানা ছিলো না. জানার পর নাকি উনি বেশ কান্না-কাটি করেন এবং আবারও কালেমা পড়েন। 
by (583,410 points)
জ্বী, বুঝতে পেরেছি।জাযাকুমুল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...