আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
এক জন বোনের হয়ে প্রশ্ন করছি আশা করি তাড়াতাড়ি উত্তর পাওয়া যাবে ইং শা আল্লহ
১. ২০১২ সালের ঘটনা। তখন দীন সম্পর্কে তেমন জ্ঞান ছিল না. একটি বিশেষ ঘটনায় আমার আশানুরূপ ফলাফল চেয়ে আমি আল্লাহর কাছে ২ রাকাত নফল নামাজ মানত করি. শেষ পর্যন্ত ফলাফল বিপরীতে যায় এবং আল্লহুম্মাগফিরলী, আমি এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়/ ভেঙে পড়ি যে আমি সিদ্ধান্ত নেই যে আর নামাজ পরব না, আল্লহুম্মাগফিরলী। এর পরে কয়েক ওয়াক্ত আমি নামাজ পড়িও নাই. অনেক আগের কথা স্পষ্ট মনে নাই, খালি একটুকু খেয়াল আছে যে, নামাজের সময় আমার অনেক কষ্ট লাগতো, কাঁদতাম, তাও কয়েক দিন পড়ি নাই. এর পর কিভাবে কি হলো ঠিক মনে নাই, খালি এটুক মনে আছে, কাঁদতে কাঁদতেই আমি আবার নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ আমার খুব কষ্ট লাগতো যে আমি নামাজ পড়ছি না, কান্না পেতো। তো এভাবেই আমি আবার নামাজ পড়া শুরু করলাম। তখন কলেমা পড়সি কি পড়ি নাই তা ঠিক মনে নাই. আর তখন অতো জ্ঞান-ও ছিল না.
এরপর আলহামদুলিল্লাহ আমি ধীরে ধীরে ৫ ওয়াক্ত নামাজে খুবই মনোযোগী হয়ে যাই. ধীরে ধীরে দীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে শুরু করি.
এক পর্যায়ে উপরের ঘটনা আমার স্মরণ হয় এবং আমি নিজে নিজেই কালেমা পড়ি (লা ইলাহা পড়া আরকি) এবং আল্লাহর কাছে দুআ করি যেন আমাকে এক জন মুসলিম হিসেবে কবুল করে নেন. এটা ঠিক কবের ঘটনা আমার মনে নাই, তবে এরকম বেশ কয়েক বার হয়েছে যে এই ঘটনা মনে করে আমি কান্না-কাটি করে মাফ চাইসি এবং আবারো কালেমা পড়সি.
সম্প্রতি আমি আইওএম এর বেশ কিছু ফ্রি কোর্স করি এবং আলিম কোর্সও ভর্তি হই. সেখানে আমি দাওয়াহ সম্পর্কে বেশ কিছু জানতে পারি এবং সেখান থেকেই আমার এখন সন্দেহ হয় যে, আমি যে নিজে নিজে কালেমা পড়েছি এটা গ্রহণযোগ্য কিনা। নাকি এখন কোনো আলেম-ওলামার কাছে গিয়ে আমাকে কালেমা পড়তে হবে?
২. কেউ যদি কদরের রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের কাযা পরে নেয়, তাহলে কি তার বিগত সকল কাযা আদায় হয়ে যাবে? নাকি তা আলাদা বিষয়? কোনটা কদরের রাত তা তো নির্দিষ্ট জানা নাই, তাই প্রত্যেক সম্ভাব্য রাতেই যদি কাযা পড়ে নেয় তাহলে কি আদায় করা হয়ে যাবে?