বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলের সময় নারী-পুরুষ একই মজলিসে উপস্থিত হতেন,কথাটি সত্য।তবে বর্তমানে ফিতনার আশংকার দরুণ সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা যে, নারী পুরুষ একই স্থানে একত্রিত হতে পারবে না।
(২)
বর্তমানে সময়ে সহশিক্ষাকে অবাধে বৈধ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সময়কার পরিবেশকে দলীল হিসেবে পেশ করা সমীচীন হবে না।কেননা তখনকার সময়ের লোকদের দ্বীনদারিতা আর বর্তমান সময়ের লোকদের দ্বীনদারিতাকে এক পাল্লায় ওজন করা যাবে না।
(৩)
সর্বাবস্থায় মহিলার জন্য উত্তম হল ঘরের মধ্যে নামায পড়া,কেননা নবী কারীম সাঃ বলেন
( ﻻ ﺗﻤﻨﻌﻮﺍ ﻧﺴﺎﺀﻛﻢ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ، ﻭﺑﻴﻮﺗﻬﻦ ﺧﻴﺮ ﻟﻬﻦ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( 567 ) ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ .
তোমরা মহিলাদিগকে মসজিদ থেকে বাধা প্রদান করবেনা এবং ঘর-ই হল তাদের জন্য ইবাদতের উত্তম স্থান।(আবু-দাউদ,৫৬৭)
মহিলাদের উপর জুমু'আহ ওয়াজিব না হওয়ার হেকমত হল,শরীয়ত মহিলাদিগকে পুরুষদের মিলনক্ষেত্রে যোগ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেননা তার পরিনতি কখনো শুভকর হয় না,যেমন আজকের রঙ্গিন দুনিয়ায় পুরুষ-মহিলাদের সমবিচরণে সেই সমস্ত অশুভ বিষয়সমূহ-কে প্রতিনিয়ত আমরা পত্যক্ষ্য করছি ।এ জন্য ফিতনার আশংকা থাকায় মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়াকে ফুকাহায়ে কেরাম মাকরুহে তাহরিমী বলেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/5331