আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
401 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
edited by
(১)গায়রে মাহরামের দিকে যদি  না তাকায় এবং অন্য যেসব কাজ করা হয় সেগুলো থেকে বিরত থেকে নিজেদের মত করে থাকলে কি গায়ে হলুদ,বিয়ের অনুষ্টানে যাওয়া যাবে ?

(২)ফ্রী মিক্সিং আছে এমন স্কুল,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়ি এবং নজরের হেফাজত,গায়রে মাহরাম মানার চেষ্টা করি,তাহলে একই কাজ গায়ে হলুদ,বিয়ের অনুষ্ঠানে করলেও হয়,বরং আমরা এইসব অনুষ্ঠানে প্রধানত যায় আত্নীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে এবং আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে,ফ্রী মিক্সিং এবং অনৌইসলামিক কাজগুলো থেকেই বিরত থাকলেই হয়।কেউ যদি এমন যুক্তি দেয় তাহলে তার উত্তর কি হবে?

(৩)এইসব অনুষ্ঠানে যাওয়া যদি জায়েয না হয় তাহলে আত্নীয়রা যে বাসায় দাওয়াত দেয় সেইখানেও ফ্রী মিক্সিং এবং পর্দার খেলাপ হয়,তাহলে এইসব দাওয়াতে যাওয়ার হুকুম কি হবে?

(৪)পর্দা,মাহরাম গায়রে-মাহরাম মানার হুকুমটা কি ফরজ বিধান?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।বিস্তারিত জানুন-১৯৮২


সুতরাং যে সব অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে,সে সকল অনুষ্টান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।এটাই মূলত হুকুম।বিস্তারিত জানুন-২৮৬৭

অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান।বিস্তারিত জানুন-১৫৭৭

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত লিংকে বর্ণিত মূলনীতির আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্তে পৌছতে সক্ষম হবো যে,নিজ নিকটাত্মীয়কে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অবগত করানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাদেরকে গায়রে শরয়ী কাজ থেকে বিরত থাকার যাবতীয় চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালাতে হবে।তারপরও যদি তারা সামাজিকতার অজুহাত দেখিয়ে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে যায়,তাহলে তাদের অনুষ্টান পরাত্যাগ করাই শ্রেয়।এবং এক্ষেত্রে সম্পর্ক নষ্টর দায়ভাড় আপনার উপর বর্তাবে না।

হ্যা তাদেরকে ভবিষ্যতে হেদায়তের দিকে দাওয়াত এবং নিয়ে আসার স্বার্থে তাদের বিয়ের ঐ সমস্ত অনুষ্টানে শরীক হওয়া যাবে,যেখানে আপনাকে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত হতে না হয়।তথা শরীয়ত বিরোধী অনুষ্টান সমূহ পরিত্যাগ পূর্বক তাদের বিয়েতে উপস্থিত হওয়া যাবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি গায়ে হলুদ অনুষ্টান থেকে দূরে থাকবেন,শুধুমাত্র এটা নয়,বরং আপনি এ বিজাতীয় অনুষ্টান থেকে নিজ আত্মীয় স্বজনকে দৃরে রাখার চেষ্টা করবেন।সম্ভব হলে উক্ত অনুষ্টানকে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন।

(১)
গায়রে মাহরামের দিকে না তাকানো হলেও এবং অন্য যেসব কাজ করা হয় সেগুলো থেকে বিরত থেকে নিজেদের মত করে থাকলেও গায়ে হলুদ,এবং বিয়ের অনুষ্টানে যাওয়া যাবে না।কেননা তখন বুঝা যাবে আপনি এ কাজকে মন্দ পাচ্ছেন না।
হাদীসে এসেছে,যে ব্যক্তি অন্য দলের সংখ্যাকে বাড়িবে,সে তাদের দলভুক্ত।


(২)
স্কুল কলেজে পড়ার বিষয়টা মূলত ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট।তথা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শরীয়তের অনেক বিধান লঙ্গন হওয়ার পরও ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার্থে ফুকাহায়ে কেরাম বেশ কিছু শর্তের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণের রুখসত দিয়েছেন।

কিন্তু প্রচলিত গায়ে হলুদ বা বিবাহ অনুষ্টানে এমন কোনো কারণ নেই।বিধায় তাতে অংশ গ্রহণ করা যাবে না।করলেও প্রাথমিক দেখা সাক্ষাতের পর ছিটকে পড়তে হবে।মূল অনুষ্টান মালায় শরীক হওয়া যাবে না।


(৩)
যে বাসায় দাওয়াত দেয় সেইখানেও যদি ফ্রী মিক্সিং এবং পর্দার খেলাপ পরিবেশ থাকে,তাহলে সেখানে যাওয়াও জায়েয হবে না।

(৪)
পর্দা,মাহরাম গায়রে-মাহরাম মানার বিধান ফরজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 463 views
...