بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে লাইট ক্রয় করে দেয়া কি হোস্টেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব?
নাকি প্রত্যেককেই নিজ নিজ রুমের জন্য ক্রয় করতে হয়?
যদি প্রথম ছুরত হয়,সেক্ষেত্রে হিটার ইউজ বাবদ বিদ্যুৎ বিল দিয়ে লাইট ক্রয় করে দেয়া যাবে।
তবে হিটার ইউজ বাদ দিতে হবে।
নতুবা অনুমতি নিতে হবে।
(০৬)
এতে গুনাহ হবেনা।
(০৭)
যেমন জুতার ফিতা ছিড়ে গেছে, সেটিও আল্লাহর কাছে চাওয়া।
(০৮)
এখানে যেহেতু সহবাস না করার কসম করেনি,সুতরাং এক্ষেত্রে তাদের বিবাহে সমস্যা হবেনা।
(০৯)
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম।
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর নাভি ও নাভির উপরের অংশ থেকে এবং হাটু ও হাটুর নিচের অংশ থেকে উপকৃত হওয়া যাবে।
নাভি ও হাটুর মাঝের স্থান থেকে কাপড় বিহীন উপকৃত হওয়া যাবেনা।
তবে মাঝে কাপড় থাকলে এ অঙ্গ গুলি থেকেও উপকৃত হওয়া যাবে।
তবে সহবাস তথা লিঙ্গ প্রবেশ করা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ ـ هُوَ الشَّيْبَانِيُّ ـ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا، أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا. قَالَتْ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কারো হায়েয শুরু হলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার লজ্জাস্থানে শক্ত করে পাজামা বাঁধার নির্দেশ দিতেন, অতঃপর তিনি তার সাথে আলিঙ্গন করতেন। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তার প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে পারে, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে সক্ষম ছিলেন!
বুখারী ৩০১-২, মুসলিম ২৯১-২, নাসায়ী ২৮৫-৮৬, ৩৭৩-৭৫; আবূ দাঊদ ২৬৮, ২৭৩; আহমাদ ২৪৩৯৪, ২৪৫০০, ২৪৫৮০, ২৪৮৮২, ২৪৯৬৫, ২৫০৩৫, ২৫১৫৪, ২৫২২২, ২৫৪৪৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১২৭-২৮, ৭৯৫; দারিমী ১০৩৩, ১০৩৭, ১০৪৭; ইবনু মাজাহ ৬৩৬।
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ أَمَرَهَا فَاتَّزَرَتْ وَهْىَ حَائِضٌ.
মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়েয অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন। শায়বানী (রহঃ) হতে সুফিয়ান (রহঃ) এ বর্ণনা করেছেন। (বুখারী ৩০৩.মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৪, আহমাদ ২৬৯১৮) (আ.প্র. ২৯২, ই.ফা. ২৯৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীর ঋতু অবস্থায়, যদি কেউ উরু থেকে কাপড় বিহিন ফায়দা নেয় এতে গুনাহ হবে।
তবে মাঝে কাপড় থাকলে গুনাহ হবেনা।
উল্লেখ্য এক্ষেত্রে স্ত্রীর হাটু ও হাটুর নিচের অংশ থেকে কাপড় বিহিন উপকৃত হওয়া যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(২.৩.৪.৫)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।