আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
https://ifatwa.info/79805/

এই লিংকের ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরের বলা হয়েছে কাজী সাহেব পাত্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিকাহনামার ১৮ নং ধারায় "হ্যাঁ" লিখেছে।


সুতরাং এক্ষেত্রে ১৮ নং ধারায় এই "হ্যাঁ" লেখার পর যদি পাত্র তাতে স্বাক্ষর করে থাকে,এবং পাত্রের এই স্বাক্ষর যদি ইজাব কবুলের পরে হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।


সুতরাং এক্ষেত্রে স্ত্রী নিজের উপর তালাক গ্রহনের সমর্থক কোনো কেনায়া বাক্য তালাকের গ্রহনের নিয়তে বললে তালাক হবে।


এই ক্ষেত্রে নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হতাম।


হাসব্যান্ড কিস করতে চাইলে ওয়াইফ না বলে(তারপর মনে মনে বলে কেনায় তালাক, কাল বিষয় নিয়ে আপনাদের ওয়েবসাইটে পরেছিলাম তাই ভুলে বলে দিয়েছি) এই ক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে গেছে? (দুপুরের ঘটনা) অনেক ওয়াসওয়াসা আসছে তালাক এর বিষয় টা জনার পর থেকে।আমাকে সাহায্য করুন। আমি নিজের কাছে তালাক দিয়ার অধিকার রাখতে চাইছি না ।কারণ এই নিয়ে আমার অনেক ওয়াসওয়াসা আসছে।


আবার হাসব্যান্ড কে বলেছি তোমাকে আমাদের ব্যাচের কোনো মেয়ে পছন্দ করে না কয়েক সেকেন্ড থেমে বলেছি আমি বাদে।দিয়ে মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ বলছি ২-৩ বার।পরে মনে আবার কেনায়া শব্দ টা আসছে। তখনই থেমে গেছি(সন্ধার ঘটনা))। আমার এই বিষয়ে ভয় লাগতে শুরু করেছে এখন। হাসব্যান্ড এর সঙ্গে ভয় ভয় নিয়ে কথা বলছি কি বলে ফেলি আর কি হয়ে যায়।আগেও এমন কিছু বলে ফেলেছি নাকি।আমাকে দ্রুত সঠিক টা জানলে ভালো হতো।


নিজের সঙ্গে নিজে মনে মনে কথা বলছি যে আমি আর আমার হাসব্যান্ড সেপারেট হয়ে গেলে এই টাইপ কিছু(সঠিক টা মনে নাই) মনে হলো পাশে থেকে কেউ আমাকে কেনায়া শব্দ টা মনে করায় দিলো আর আমার শব্দ টা মনেহয় গেলো(কিছুই আমি মুখে উচ্চারণ করিনি . সব মনে মনে হয়েছে).এইটা রাতের ঘটনা।আমাকে সাহায্য করেন।আমি আর এই ব্যাপারটা নিতে পারছি না।


দুয়া করছিলাম আল্লাহ আমার হাসব্যান্ড কে আমার থেকে আলাদা করে দিয়েন না,ছিনিয়ে নিয়েন না তখন হটাৎ মনে হয় এইগুলা কেনায়া বাক্য।আমি দুয়া থামায় দেই।আমাদের বিয়ের কি সমস্যা হবে এই জন্য?


https://ifatwa.info/75517/

এইখানে বলা হয়েছে যে বর্তমান সম্পত্তি ৩ ভাগ করতে এবং আমার বাবা এক ভাগ পাবে।কিন্তু ফুপু চাচারা বলে যেহেতু আমার বাবা এক ফুপু ও এক চাচার আগে মারা গেছে।তাই আমার মৃত ফুপু ও চাচার ভাগ আমরা পাবো না। সঠিক টা

 জানলে ভালো হতো?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো তালাক হয়নি।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
চিন্তিত না হওয়া পরামর্শ রইলো। 


(০২)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)       
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার দাদা ১৯৯৫ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি ৩ ছেলে (আপনার বাবা ও আপনার দুই চাচা) আর ৩ মেয়ে (আপনার ফুফু) রেখে মারা যান।

এক্ষেত্রে আপনার দাদার সমুদয় সম্পত্তি ৯ ভাগ হবে। আপনার বাবা এবং বাকি দুই চাচা প্রত্যেকে ২ ভাগ করে মোট ৬ ভাগ পাবে।

আপনার তিন ফুফু প্রত্যেকে ১ করে তিন জন মোট ৩ ভাগ পাবে।

★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবা ২০১৩  সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে,২ ভাই (আপনার চাচা) ও ৩ বোন (আপনার ফুফু) রেখে মারা যান।

এক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি ৫ ভাগ হবে। আপনার দুই ভাই প্রত্যেকে ২ ভাগ করে মোট ৪ ভাগ পাবে।

আপনার এক বোন তিন ১ ভাগ পাবে।

আপনার চাচারা আপনার ফুফুরা আপনার বাবার সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।

★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ফুফু ২০২১ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি স্বামী ২ ভাই, ২ বোন,দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে রেখে মারা যান।

এক্ষেত্রে আপনার ফুফুর সমুদয় সম্পত্তি ১২ ভাগ হবে। 
তার স্বামী পাবে ৬ অংশ, ২ ভাই প্রত্যেকে ২ অংশ করে মোট ৪ ভাগ পাবে, ২ বোন প্রত্যেকে ১ অংশ করে মোট ২ ভাগ পাবে, 

দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে 
ফুফুর সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।

★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার চাচা ২০২৩ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি এক ভাই, ২ বোন,দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে রেখে মারা যান।

এক্ষেত্রে আপনার চাচার সমুদয় সম্পত্তি চার ভাগ হবে। 
এক ভাই পাবে ২ অংশ, ২ বোন প্রত্যেকে ১ অংশ করে মোট ২ ভাগ পাবে, 

দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে 
ফুফুর সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...