জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো তালাক হয়নি।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
চিন্তিত না হওয়া পরামর্শ রইলো।
(০২)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার দাদা ১৯৯৫ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি ৩ ছেলে (আপনার বাবা ও আপনার দুই চাচা) আর ৩ মেয়ে (আপনার ফুফু) রেখে মারা যান।
এক্ষেত্রে আপনার দাদার সমুদয় সম্পত্তি ৯ ভাগ হবে। আপনার বাবা এবং বাকি দুই চাচা প্রত্যেকে ২ ভাগ করে মোট ৬ ভাগ পাবে।
আপনার তিন ফুফু প্রত্যেকে ১ করে তিন জন মোট ৩ ভাগ পাবে।
★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবা ২০১৩ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে,২ ভাই (আপনার চাচা) ও ৩ বোন (আপনার ফুফু) রেখে মারা যান।
এক্ষেত্রে আপনার বাবার সমুদয় সম্পত্তি ৫ ভাগ হবে। আপনার দুই ভাই প্রত্যেকে ২ ভাগ করে মোট ৪ ভাগ পাবে।
আপনার এক বোন তিন ১ ভাগ পাবে।
আপনার চাচারা আপনার ফুফুরা আপনার বাবার সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।
★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ফুফু ২০২১ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি স্বামী ২ ভাই, ২ বোন,দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে রেখে মারা যান।
এক্ষেত্রে আপনার ফুফুর সমুদয় সম্পত্তি ১২ ভাগ হবে।
তার স্বামী পাবে ৬ অংশ, ২ ভাই প্রত্যেকে ২ অংশ করে মোট ৪ ভাগ পাবে, ২ বোন প্রত্যেকে ১ অংশ করে মোট ২ ভাগ পাবে,
দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে
ফুফুর সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।
★★প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার চাচা ২০২৩ সালে মারা যান। সেই সময়ে তিনি এক ভাই, ২ বোন,দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে রেখে মারা যান।
এক্ষেত্রে আপনার চাচার সমুদয় সম্পত্তি চার ভাগ হবে।
এক ভাই পাবে ২ অংশ, ২ বোন প্রত্যেকে ১ অংশ করে মোট ২ ভাগ পাবে,
দুইজন ভাইয়ের ছেলে ও একজন ভাইয়ের মেয়ে
ফুফুর সম্পত্তি হতে কোনো অংশ পাবেনা। তারা এক্ষেত্রে বঞ্চিত হবে।