আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
retagged by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

১.হুজুর আমার বিয়ে করা ১ বছর হলো, আমি এখনও কোনো চাকরী পায়নি, আমি বেকার । দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রাগা রাগী হয়।
স্ত্রী আমাকে বলছে আমাকে বিয়ে করেছি কিন্তু এখনও কোনো দায়িত্ব নিতে পারোনি । দিয়ে আমি বলছি আমি তোমার সব দায়িত্ব নিবো, দিয়ে স্ত্রী বলছে তোমাকে দায়িত্ব নিতে হবে না ।  স্ত্রী এমনি রেগে বলেছে , তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না, হুজুর এই কথার জন্য কি তালাক হবে?
২. স্ত্রী যদি তালাকের অধিকার পেয়ে থাকে তাহলে যদি এইসব কথা বলে তাহলে কি তালাক হবে? আমি স্ত্রী কে জিজ্ঞাসা করেছি, সে এমনি রেগে বলেছে , কোনো তালাকের নিয়ত ছিল না । এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

৩. হুজুর দিয়ে আমি বললাম আমি তোমার সমস্ত দায়িত্ব নিবো। দিয়ে স্ত্রী বলছে রেগে তুমি আমার দায়িত্ব নিতে পারবে না।  দিয়ে আমার রাগ হয়ে জাই,  যে আমার স্ত্রী কি বলতে চেয়েছে, দিয়ে আমি বলছি,  আমি যদি তোমার দায়িত্ব নিতে না পারি তাহলে তুমি কি বলতে চাইছো?? আমি ভেবেছিলাম স্ত্রী হয়ত অন্য কোনো খারাপ কথা বলে ফেলবে তাই আমি জিজ্ঞাসা করছি তুমি কি বলতে চাইছো , আমি যদি তোমার দায়িত্ব নিতে না পারি বা দায়িত্ব না নেয়?।  হুজুর আমার রাগের বশে এইসব কথা বার্তা জন্য কি কোনো তালাক হবে?   ওই কথা বলে আমি শুধু জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছি।

৪. হুজুর আমি তো এই কথা গুলো বলেছি, যদি রাগের বসে  তালাকের নিয়তে এই সব কথা জিজ্ঞাসা করি তাহলে কি তালাক হবে? কারণ আমি তো এইখানে কোনো কেনিয়া বাক্য বলিনি।  আমি শুধু মাত্র জিজ্ঞাসা করেছি, যে সে কি বলতে চেয়েছে। আমি শুধু রাগের বশে জিজ্ঞাসা করেছি সে কি বলতে চেয়েছে? এর জন্য কি তালাক হবে?

৫. হুজুর আমার যখন বিয়ে হয় তখন এমন কথা হয়, যতদিন আমার স্ত্রী  পড়া সোনা করবে  , আমার স্ত্রী র যাবতীয় খরচ ও দায়িত্ব তার বাবা বহন করবে। ২ বছর তার বাবা সমস্ত দায়িত্ব নিবে, তার খরচের । ২ বছর পর  যাবতীয় খরচ আমি করবো।

দিয়ে একদিন স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয় , দিয়ে আমি বলি কথাই তো হয়েছে ২ বছর তোমার বাবা তোমার সমস্ত দায়িত্ব নিবে, তাহলে আমাকে বলছ কেনো?আমি তো বেকার ছেলে আমি কোথায় টাকা পাবো? আমি এখন দায়িত্ব নিতে পারবো না , আমি কোথায় টাকা পাবো। ২ বছর পরে সমস্ত দায়িত্ব আমার ,আমি বহন করবো সমস্ত খরচ। হুজুর নরমালি এই সব কথা হয়েছে হুজুর কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না   বা তালাকের উদ্দেশ্য ছিল না । টাকা র প্রবলেম এর জন্য এমন কথা হয়ত হয়েছে , আমার সঠিক মনে পড়ছে না । হয়ত এই রকম কথা নরমালি হয়েছে । হুজুর এমন কথা বার্তা যদি বলে থাকি এর    জন্য কি কোনো তালাক হবে?
৬. হুজুর বিয়ের পর আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থাকে, আমি আমার বাড়িতে থাকি। এমনি সে আমাদের বাড়ি আসে, আমি তাদের বাড়ি জাই। হুজুর যখন ঝামেলা হচ্ছিলো আমি আমার স্ত্রীকে বলছি আমাদের সংসারে ঝামেলা করোনা। দিয়ে স্ত্রী বলছে সংসার তো এখন ও শুরু হয়নি তাই বললো। দিয়ে আমি বললাম কি ভেবে কথা টা বললে সে বললো রেগে এমনি বলেছি । কোনো কারণ নেই এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

৭. হুজুর ঘুমিয়ে ছিলাম, দিয়ে মনে মনে বলেছি ভগবানের কসম এই রকম বলেছি মনে মনে নাকি ঘুমের মধ্যে বুঝতে পারিনি। হুজুর এর জন্য ঈমান চলে যাবে নাকি?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।


আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...