وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)
(ইবনে মাজাহ ১১)
★আশ'আরী এবং মাতুরিদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত।আছারী সম্পর্কে অনেক উলামায়ে কেরাম আহলে হক তথা আহলে সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
আশায়েরা বলা হয়, যাদের নিসবত ইমাম আবুল হাসান আশআরী রহঃ এর দিকে। আর যাদের নিসবত ইমাম আবু মানসূর মাতুরিদী রহঃ এর দিকে, তাদের বলা হয় মাতুরিদী।
আশায়েরা মাতুরিদী উভয় দলের আকিদাই সঠিক।
মূলত তারা উভয়ে আল্লাহর নবী সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের আকিদাসমূহ সংকলন করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের মাঝে এ দুইজনের সংকলন ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে।
তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ এ দুইজনের একজনের দিকে নিজেদের আকিদাগত বিষয়ে নিসবত করে থাকেন।
তাদের উভয়ের মাঝে কিছু সংখ্যক মতভেদ রয়েছে। তবে তা বলতে গেলে আক্ষরিক মতভেদ। মূল মতভেদ নয়। আর এসব মতভেদ হয়েছে এমন বিষয়ে, যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম থেকে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না।
ভ্রান্ত মুতাযিলা ও মুজাসসিমা ও জাহমিয়া ফিরক্বার বিরুদ্ধে আবুল হাসান আশআরী রহঃ শক্ত হাতে কলম ধরেন। জাহমিয়া ও মু’তাযিলাদের বিরুদ্ধে তিনি “আলমুযিজ” নামক তিন খন্ডে গ্রন্থ রচনা করেন।
ইমাম আশআরী রহঃ মুহাদ্দিস, ফক্বীহ ও মুতাযিলাদের মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে মুহাদ্দিসদের মত পোষণ করতেন। তিনি সর্বদাই বিদআতপন্থীদের থেকে দূরে থাকতেন। তিনি আক্বীদা বিষয়ে প্রথমে নছ তথা কুরআন সুন্নাহ তারপর তার সমর্থনে আকল তথা যুক্তিকেও ব্যবহার করতেন। [ইসলামী বিশ্বকোষ, ইফাবা, ইলমুল কালাম-৫৭]
আছারী,আশ'আরী এবং মাতুরিদিদের মধ্যেকার পার্থক্যগুলো বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)
সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!