আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শাইখ।

আমি তাছলিমা আক্তার, আমার সাথে একজনের বিবাহের কথা চলতেছে দেখা সাক্ষাৎ শেষ এখন পরের সিদ্ধান্ত নেবার পালা একে অপরকে অনেক পছন্দ হয়েছে তাই ইস্তেখারা শুরু করলাম উনি ও শুরু করেছেন ইস্তেখারার পর উনার অনুভূতি আরো দৃঢ় সেটা জানালেন। আর আমার ইস্তেখারায় আলহামদুলিল্লাহ আমি খুবি মনোযোগ এর সাথে একবার ইস্তেখারা করার তৌফিক পেয়েছি তো এই ইস্তেখারা করার ২দিন পর গতকাল রাতে একটা স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেংগে যায় ফোন হাতে নিয়ে দেখি রাত ২.১২ বাজে। পরে আমি তাহাজ্জুদ পরি দেন আবার ইস্তেখারা করে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দুয়া করি।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা টি ই এখন আপনার কাছে জানতে চাই আর আমার ব্যাপারে আপনার কাছে পরামর্শ চাই।

আমি স্বপনে দেখি আমি উনাদের বাসায়, আমাকে উনি নিয়ে গেছেন আমি একটা রুমে ঘুমাচ্ছি হটাৎ আমার ঘুম ভাংগে কিছু কথার আওয়াজে আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি উনি আর উনার বাবা কথা বলছেন (উনি বাবা কে না জানিয়ে বিয়ে করবেন আমাকে লজিক্যাল কিছু কারণে)  তো আমি দেখতেছি উনি উমার বাবাকে বুঝাচ্ছেন অনেক আবেগতাড়িতভাবে যে- বাবা আমি তো এরকম একটা কাজ করে ফেলেছি উনি যেনো মেনে নেন তো উনার বাবা আমার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তো উনি বলতেছেন আমার ব্যাপারে সব। তারপর উনার বাবা প্রথমে একটু রাগ করেছেন পরে আমাকে দেখে আমার সাথে সুন্দর করে কথা বলেছেন আর মেনে নিয়েছেন।
এরপর যে বাড়িতে আমাকে নিয়ে গেছে সেটা মাটির ঘর ছিলো কিন্তু উনারা ফ্ল্যাটে থাকেন তো আমি ভাবছিলাম উনারা তো ফ্ল্যাটে থাকতেন তাইলে এখন মাটির ঘর এসব ভাবতেছি কিন্তু তার উপর আমার কোন রাগ হচ্ছে না এটা ভেবে যে ফ্ল্যাটে থাকে বলছে কিন্তু এখন দেখি মাটির ঘর আমার কোন রাগ হচ্ছিলো না স্বপ্নে।

পরে মনে হল এটা উনাদের বাসা না উনার খালার বাসা উনার খালার কাছে আমাকে রেখে গেছে যেনো আমার দেখভাল করেন উনি কারণ আমার শাশুড়ী নেই উনি মারা গেছেন (বাস্তবেই উনি মারা গেছেন অনেক বছর আগে)

তারপর উনি অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছেন বাহিরের কাজে আমাকে সময় দিচ্ছেন না আমি কয়েকবার ফোন করেছি বুঝতেছিলাম অনেক ব্যস্ত আছেন প্রথমবার কল করার পর ঠিক করে কথা বলেছেন পরেরবার কল করার পর ঠিকঠাক কথা বলতেছিলেন না ফোন রেখে দিছেন তো আমার অনেক মন খারাপ হয়ে গেছে পরে আমি আমার খালা শাশুড়ী কে বিচার দিতেছিলাম উনার নামে উনি বললেন হয়তো ব্যস্ত আছে ভুল যেনো না বুঝি।

শাইখ আমার এই স্বপন দেখে আমি ঘুম থেকে হটাৎ জেগে উঠি তারপর ফোন হাতে নিয়ে দেখি রাত ২.১২ বাজে আমার এই স্বপ্ন কি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখেছি? এটার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা কি আমাকে কোন ইংগিত দিচ্ছেন আমি কি ধরে নিতে পারি শাইখ?

এই স্বপন দেখার পর আল্লাহ আমাকে তাহাজ্জুদ পড়ার তৌতৌফিক দিয়েছেন আবার ইস্তেখারা করার তৌফিক দিয়েছেন গভীর রাতে আলহামদুলিল্লাহ। আমাকে পরামর্শ দিন শাইখ।

আর স্বপনে এটা ও দেখেছি উনার ছোট ভাই একটু অসুস্থ আমি তাকে একটু খেয়াল রাখার চেষ্টা করছিলাম

1 Answer

0 votes
by (58,680 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/13381/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 

ইস্তেখারা অর্থ হল, ভালোকে তালাশ করা। অর্থাৎ যখন কারো সামনে দু’টি রাস্তা থাকে, সে জানেনা কোন রাস্তাটি তার জন্য মঙ্গলজনক, তাহলে এমতাবস্থায় সে ইস্তেখারা করে একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। সুতরাং কারো অসুখ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না? সেটা জানার জন্য ইস্তেখারা করার কোনো নিয়ম নাই। হ্যা এ বিষয়ে আল্লাহর মদদ ও সাহায্য কামনার স্বার্থে ইস্তেখারা করা যেতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়েঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»

ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমা হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ  তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯)

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1472

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ইস্তেখারার ফলাফল হিসেবে আপনি যেই স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেছেন এতে নেগেটিভ কোন বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সুতরাং উক্ত স্বপ্ন দেখার পর যদি আপনার অন্তরে উক্ত ছেলেকে বিয়ে করার বিষয়টি কল্যাণকর মনে হয় তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন। আল্লাহ চাহে তো এতেই আপনার কল্যাণ রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...