আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি কয়েকদিন আগে আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম।  উত্তর আপনি দিয়েছিলেন । কিন্তু    পরে একটা কমেন্ট করেছিলাম তার উত্তর দেন নি। এজন্য আবার প্রশ্নটি করলাম।
আমি একদিন ফরজ নামাজ এর পর দোয়া পরছিলাম। তখন আমার মনে হয় যে আল্লাহ সবকিছুর ধারক। সবকিছুর বাহক।
এই মনে হওয়ার পর আমি মনে মনে ভাবি যে কোন ভুল হল নাকি এজন্য আমি আয়াতুল কুরসির অনুবাদ দেখি। অনুবাদে আল্লাহ সবকিছুর ধারক লেখা ছিল।
এখন আমার প্রশ্ন হল-
১.আল্লাহকে  সবকিছুর বাহক বলা যাবে।  এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?প্রশ্ন লেখার মধ্যে কোন ভুল হয়েছে কি এর কারনে কি ঈমানের  কোন সমস্যা হবে?        
২.আমার স্ত্রী কালকে একজনের সাথে   গল্প করার সময় তাকে বলে যে, একজন হুজুরের নাম উল্লেখ করে তাকে বলে যে সেই হুজুর একটা বাচ্চাকে কুফরি করেছে। আমার স্ত্রী আবার একজন মহিলার থেকে এই কথা শুনেছে।      তখন আমি আমার স্ত্রীকে বলি যে তুমি কি নিশ্চিত  জান যে সে কুফরি করেছে। এই কথা বলার পর আমার স্ত্রী আমার উপর একটু রাগ হয়ে বলে যে সেই কুফরি করেছে। পরে আমার স্ত্রীকে বুঝিয়ে বল্লে তাকে ইস্তিগফার পড়তে বল্লে সে ইস্তিগফার পড়ে। এখন আমার প্রশ্ন হল-

ক. আমার স্ত্রীর অইভাবে সেই হুজুর বাচ্চাকে কুফরি করেছে বলার দারা কি তাকফির করা হয়েছে?  এর কারনে কি আমার স্ত্রীর ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমি বলার পরও রাগের কারনে সেই কুফরি করেছে বলার কারনে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

খ. আমার স্ত্রী যার কাছ থেকে এই কথা শুনেছে। সেই মহিলাও একজন এর কাছ থেকে শুনেছে। সেই মহিলা যদি কোন গনকের কাছে যায় বা কোন হুজুরের কাছে যায় এবং তার কথা বিশ্বাস করে। এবং দ্বিতীয় মহিলাকে বলে এবং দ্বিতীয় মহিলা আমার স্ত্রীকে বলে। আমার স্ত্রী যদি বিশ্বাস করে তাহলে কি শিরক করা হবে?। (যদিও আমি জানি না যে  সে গনকের কাছে গেছিল না কি বা  কোন হুজুর তাকে এই কথা বলেছে)।কারন আল্লাহ ছাড়া গায়েব কেউ জানে না। এর কারনে কি আমার স্ত্রীর ঈমানের কোন সমস্যা হবে?   (যেহেতু আমার স্ত্রী অই হুজুর বাচ্চাকে কুফরি করেছে বলে বিশ্বাস করেছে)।

৩.কেউ হারাম কাজে সফলতা অর্জন করলে বা হারাম কাজে লাকি বা সৌভাগ্যবান বলা যাবে কি?

৪. স্ত্রী যদি বলে তোমাকে ছাড়া বাঁচবনা তাহলে কি গুনাহ হবে?
৫.স্ত্রী যদি বলে তোমার জন্য মরতে পারি তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
ক্ষমাশীল, ক্ষমতাবান। 

তিনি বলেন: ‘বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন, অতঃপর আল্লাহ পুনর্বার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশক্তিমান’ [আনকাবুত ২৯/২০]

অন্যত্র তিনি আরো বলেন: ‘আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [নূর ২৪/৪৫]

আল্লাহ আরো বলেন: ‘নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান বা ক্ষমতাবান’[মায়েদাহ ৫/১২০]

মহান আল্লাহ বলেন: ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [হাদীদ ৫৭/২]

মহান আল্লাহ বলেন: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক। তারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির মধ্যে যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [ফাতির ৩৫/১]

তিনি আরো বলেন: ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [তাগাবুন ৬৪/১]

বাহক অর্থঃ-
বহনকারী,সারথি,চালক ইত্যাদি। 

সব কিছুর বাহক মানে সব কিছুর বহনকারী।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আল্লাহকে সবকিছুর বাহক বলা যাবেনা। 
এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

জানা মতে প্রশ্ন লেখার মধ্যে শাব্দিকভাবে কোন ভুল হয়নি।

(০২)
ক,
এক্ষেত্রে তাকফির করা হয়নি।
এর কারনে আপনার স্ত্রীর ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনি বলার পরও রাগের কারনে সেই কুফরি করেছে বলার কারনে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

খ,
এর কারনে আপনার স্ত্রীর ঈমানের কোন সমস্যা হবে,আপনার স্ত্রীর কোনো শিরক এর গুনাহ হবেনা। 

(০৩)
এমনটি বলা যাবে,তবে এটি আসল সফলতা নয়।

(০৪)
তাহলে গুনাহ হবেনা।
এটি মুহাব্বতের বহিঃপ্রকাশ। 

(০৫)
এক্ষেত্রেও গুনাহ হবেনা।
এটিও মুহাব্বতের বহিঃপ্রকাশ। 

তবে বাস্তবে এমনটি করার অনুমতি শরীয়তে নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 171 views
0 votes
1 answer 234 views
...