আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি
আলহামদুলিল্লাহ আমি তাহাজ্জুদ পড়ি,,তাই বেতের রেখে দিয়েছিলাম তাহাজ্জুদের সঙ্গে আদায় করবো।ঘুম থেকে উঠতে পারিনি তাই বেতের সহ ফজর কাযা হয়েছে।

ভেবেছিলাম গোসল করে একবারে যোহর এর সঙ্গে আদায় করে নিবো গোসল এর পর হায়েজ হয়ে যাই।

১ এখন হায়েজ শেষ হলে কি কাজা নামাজ আদায় করে নিব?

কিছুদিন পর আমি হোস্টেলে উঠবো।সেখানে খাবার খেতে হলে একদিন আগে জানিয়ে দিতে হয়।যেমন আমি কাল সকালে দুপুরে খাব তাহলে আজ জানিয়ে দিতে হবে।তাহলে কাল আমার জন্য রান্না করা হবে।

২ এখন এই খাবার কি আমার জন্য হালাল হবে? কারণ এই টাকার উৎস কি আমি জানিনা।হতে পারে সবার টাকা দিয়ে বাজার করে রান্না করা হয় বা হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বাজার করে দেয় তারপর মেয়েরা টাকা দিলে তখন পূরণ করে।তাদের ইনকাম সম্পর্ক তো আমি জানিনা কি করবো এইখানে?

৩ যদি খাবার এইখান থেকে খাওয়া হালাল না হয় বাসা থেকে আমার খাবার নিয়ে আসা লাগবে ইন শা আল্লাহ। কিন্তু সব সময় তো তা সম্ভব না তখন বেকাপ হিসেবে কি আমি এলাকার হোস্টেল থেকে খাবো তাদের টা হালাল কিনা তা জানাও আমার পক্ষে তো সম্ভব নয়।

এই ক্ষেত্রে কি করতে পারি?

৪,আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এডমিট হয়েছি,,,এখন এইখানে ওরিয়েন্টেশন,নবীন বরন এইসব বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া জায়েজ হবে?

এইখানে কবিতা আবৃত্তি,নিত্য পরিবেশন,, গান ইত্যাদি সবই হবে এখন এইখানে কি যাব।অইদিন আমাদের প্রথম ক্লাস আবার বিস্তারিত অনেক কিছু জানিয়ে দিবে কি করবো এখন?

উস্তাদ এই বিষয় বিস্তারিত জানাবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েয শেষ হওয়ার পর আপনাকে বিতির সহ ফজর নামায কাযা করতে হবে।

(২)
আপনার নিজের ভাগের টাকা দ্বারা যে খাবার তৈরী করা হবে, সেই খাবার খাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে। এতেকরে কেউও হারাম টাকা দ্বারা শরীক হলেও আপনার জন্য নাজায়েয হবে না। কেননা আপনি তো হালাল টাকা দ্বারা শরীক হয়ে খাবার গ্রহণ করেছেন।

(৩)
বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওরিয়েন্টেশন,নবীন বরন ইত্যাদি, এইসব অনুষ্ঠানে শরীক হওয়া আপনার জন্য জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...