আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমুতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ্,, আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে,যেগুলো নিয়ে অনেক দিন থেকেই আমি ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি,,,

১)বাথরুমে প্রশ্রাব করা কি হারাম?? গোসল করতে গিয়ে যদি বাথরুমে প্রশ্রাব করি,তাহলে কি ধরনের গুনাহ হবে,আর সেটা যদি ইচ্ছাকরে হয়,অভ্যাস বসত,যেমন হায়েজ অবস্থায় থাকলে,সে কয়েকদিন,এমন টা হয়ে থাকে,,

২)প্রশ্রাব করার পর পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের সময়,যদি একটা আংগুল যোনির ভিতরে ঢুকিয়ে পরিস্কার করি,এমন টা হায়েজ অবস্থায় বেশি হয়ে থাকে,,এটা অনেক দিনের অভ্যাস বসত হয়ে থাকে,মাস্টারবেশন এর কোন নিয়ত ছিল না,, এমন কোন কিছু আমার মাথাতেও কখনো আসে নি,কিছু দিন আগে একটা বইয়ে পড়েছি,এমন করে নাকি মাস্টারবেশন করে,তাই আমি খুব ভয়ে আছি,তাহলে কি আমি না যেনে এতো দিন থেকে গুনাহ করলাম???

৩)ইমজি ব্যবহার করা যাবে?? এই ধরনের ইমজি গুলো??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মুগাফফাল (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ
‘‘তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব না করে’’।(ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩০৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গোসলের স্থানে প্রস্রাব করতে নিষেধ করা হয়েছে।কেননা এতেকরে শরীরে প্রস্রাব লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গোসল খানা থেকে দূরে প্রস্রাবের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে প্রস্রাব করলে এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
যেহেতু আপনার নিয়ত হল, পরিস্কার করা, তাই এখানে হস্তমৈথুন হবে না।গোনাহ হবে না।

(৩)

যেহেতু মাথা ছাড়া কোনো প্রাণী জীবিত থাকতে পারেনা,তাই বলা হচ্ছে মাথা কাটা থাকলে সেটা ছবির হুকুমের আওতাধীন হবেনা।ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান:যদি emoji এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যদি চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্টত বুঝা না যায়, তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যাবে না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা কিছু রেখা ইত্যাদি ভাবা হবে। তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/974


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 173 views
...