আসসালামু আলাইকুম,
এক বোন জীনের ও জাদুর রোগী। সিভিয়ার ওয়াসওয়াসাও আছে।
তার সমস্যা...
তার বডির জিন হাজির হয়ে মাস্টারবেশন টাইপ করে ফেলে, ঘুমে থাকলে টের পায়না। উঠে বুঝেনা যে, গোসল ফরজ হলো কি হলো না।
তার পরিবার প্র‍্যাক্টিসিং না। শুধু বোন তার নিজের রুমে বাসার সুন্নাহ মেইনটেইন করেন। সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহ বলে রুম বন্ধ করেন।
যেহেতু তার রুমের বাইরে রাতে সুন্নাহ মেইনটেইন হয়না তাই গোসল করবে কি করবে না তা নিয়ে কনফিউজড থাকেন। গোসল করলে বদনজরের সমস্যায় আর ওয়াসওয়াসা বেড়ে আরো অসুস্থ বোধ করেন।
তাহাজ্জুদে উঠলেও পড়তে পারেনা এজন্য। আর ফজরের নামাজ আওয়াল ওয়াক্তে পড়তে পারেন না।
এ রমজান থেকে এ সমস্যা বেশি হয়েছে। এ রমজানেই আবিষ্কার করেছেন।
হাত অটো চলে যায় প্রাইভেট পার্টে। অনেক জোরে চাপ দিয়ে আংগুল প্রবেশ করাতে চায় অটো।
বাসায় বা এলাকায় গান বাজলে জীন শক্তিশালী হয়ে যায়।তখন এ কাজটা করে।
উঠে হয়তো রক্তের ছাপ বা হালকা হলুদ স্রাব দেখে বা কখনো কিছুই থাকেনা । বোঝাই যায়না হইছে কিনা।
কখনো এটা ওয়াসওয়াসা হয়। কখনো সত্যিই।
আধো ঘুম আধো জাগরণে এটা কখনো কখনো আবিষ্কার করেন, ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারেন না এখন।
মানসিক চাপে আছেএটা নিয়ে।
প্রায় প্রত্যেক রাতেই এরকম হচ্ছে। উঠে নামাজ,তেলাওয়াত করে। জানাবাত অবস্থায় আছে কিনা না জেনেই।
২ রাকাত নামাজ পড়েন ঘুমের আগে এ নিয়তে যাতে ওয়াসওয়াসা হলে চলে যায়, উঠে তখন আর গোসল করেন না।
১/ তার করণিয় কি? ফরজ গোসল করবে কি করবেনা? তিনি দুপুরেও ঘুমাতে পারছেন না ভয়ে,উঠে ওয়াসওয়াসায় ভোগেন হলো কিনা। তিনি সপ্নে এসংক্রান্ত কিছু দেখেন না আমল করে ঘুমালে। বেহুশের মত ঘুমান।
আগে ঘুমানোর আগে এ ধরনের ফিলিংস বোধ করতেন তখন বুঝতেন যে হয়েছে তার। কিন্তু এখন তাও বুঝেন না। জীন নজর দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে।
২/ আগে যদি এরকম হয়ে থাকে কত রাত হয়েছে বলতে পারবেন না। সেজন্য কি করনীয়। তিনি মানসিক চাপে আছেন যে, তবে এতদিনের ফজরের নামাজ কি তবে জানাবাত ছিলেন নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ সুবহানুওয়াতায়ালার কাছে কি জবাব দেবেন। কিভাবে সেসব নামাজ হিশেবই করবেন যে কতদিন এরকম হইছে।
২/সন্ধ্যায় কাপড় দিয়ে রুমেই পরিষ্কার হয়ে ওজু করে নামাজ পড়েন। ( সাদাস্রাবের সমস্যা আছে)
কিন্তু প্রস্রাবের চাপ থাকে। এখন নামাজ কি মাকরূহ হচ্ছে। রুমের বাইরে তো যাবেন কিভাবে যেহেতু রুমের বাইরে সুন্নাহ মেইনটেইন হয়না।
করণীয় কি?
৩/ সন্ধ্যায় ঠিক কতক্ষণ আগে রুম বিসমিল্লাহ বলে অফ করতে হবে? আর কতক্ষণ পর খোলা যাবে? ( তার জানামতে ৩০ মি আগে আর ১ ঘন্টা পর খোলা যাবে)
৪/ তার সাদাস্রাবের সমস্যা আছে। তিনি সাদাস্রাবের জন্য প্রত্যেক ওয়াক্তে ওজু করে নামাজ পড়েন। কিন্তু কোনো কোনো ওয়াক্তে হয়তো স্রাব যায়না। এটা তার রোগ জীনের রুগী হিশেবে। জীন প্রাইভেট পার্ট স্পর্শ করলে তার সাদাস্রাব যেত্তে থাকে।
আবার কখনো ভালো হয়ে যায়।
এখন যেহেতু এটা ভালো হয়ে যায়, আবার সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়াক্তের শুরুতে ওজু করে নেয়া তার জন্য ঠিক হচ্ছে কিনা।
৫/ সাদাস্রাব কতটুকু কাপড়ে লেগে থাকলে নামাজ হয়ে যাবে। প্রস্রাবের ছিটা বা সাদাস্রাব এ দুইটা নিয়ে তিনি মারাত্মক মানসিক চাপে থাকেন লাগলো কিনা। নামাযে খুশু পান না।
৬/ রমজানে তার জীনের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায়, এমন হয়েছিল প্রত্যেক নামাজে প্রত্যেক সুরায় আয়াতের পর তিনি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" জিকিরটা করতেন অন্তর দিয়ে। কারণ এক আয়াত পড়ে তার পরের আয়াত মনে আসতোনা। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকরটা করলে মনে আসতো।
কতদিন এরকম করেছেন বলতে পারবেন না। নামাজে জীন হাজির হয়ে যায় তাই।
আর মুখ ভর্তি থুতু আসতো এ জিকর করলে, তখন মনে মনে তিলাওয়াত করতেন, মুখ বন্ধ হয়ে যেতো। রুকু, সিজদাহের তাসবীহও মনে মনে পড়তেন। আর নামাজ শেষে বালতিতে থুতু ফেলতেন।
এখন তার নামাজগুলো হয়েছে কিনা?
৭/ প্রত্যেক ৪ রাকাত নামাজের পর তার প্রস্রাবের চাপ আসে। ৪ রাকাত পড়ার পরপর ওয়াশরুমে যেতে হয়। এজন্য নামাজে অশান্তি বোধ করেন।
এখন প্রস্রাবের চাপ নিয়েই নামাজ পড়তে পারবেন কিনা? তিনি হাজতগ্রস্ত বলে বিবেচিত হবেন কিনা। যদি মনোযোগ থাকে।
জোহরের নামাজ পড়তেই নফলসহ ৩ বার যেতে হয় ওয়াশরুমে।
৮/ টিনের ছাদের নিচতলা বাসায় রুমে ময়লা থাকা বা ঘামযুক্ত কাপড় থাকা বা বালতিতে কফ থাকা রহমতের ফেরেশতা প্রবেশের প্রতিবন্ধক কিনা?
৯/ মুখে গ্যাস্ট্রিকের কারণে বা গলাব্যথার সমস্যায় গন্ধ হলে রিহমতের ফেরেশতা আসেনা কাছে এটা কি সত্য?
১০/ অন্যান্য রুমে যদি গানবাজনা চলে বা গীবত চলে বা বেপর্দা নারী থাকেন বা ছবি থাকে কিন্ত তার রুমে না থাকে সেক্ষেত্রে তার রুমে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন কি না।
১১/ ঘাম শুকিয়ে গেলে গায়ে বা ময়লা কাপড় পড়ে থাকলে গরমের দিনে, এটা কি নাপাক? বারবার কাপড় ধুতে থাকেন যে নাপাক ভেবে।
১২/ রুম বিসমিল্লাহ বলে অফ করলে ফল বা খাবারও কি ঢেকে রাখা জরুরি? না ঢাকলে শয়তান তাতে ভাগ নেবে? সন্ধ্যায়।