ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
খাদ্য গ্রহণ কয়েকভাবে হতে পারে।
(১) ফরয:
ঐ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ফরয, যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করলে শারিরিক ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যদি কেউ এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকে , যেজন্য সে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়, তাহলে সে যেন নাফরমানিতে লিপ্ত হল।তবে যদি কেউ প্রফুল্লতার সাথে ইবাদত তথা নামায রোযা পালন করার জন্য এত্থেকেও বেশী খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে সে এজন্য সওয়াব পাবে।
(২) মুবাহ:
উপরে বর্ণিত খাদ্যর চেয়ে অতিরিক্ত এমন খাদ্য যা পরিতৃপ্তির কাছাকাছি থাকে, এ পর্যায়ের খাদ্য গ্রহণ করা মুবাহ। এ প্রকারের খাদ্যে কোনো লাভও নাই এবং লোকশানও নাই। হালাল থেকে পরিতৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করলে হালকা পাতলা হিসেব নেওয়া হতে পারে।
(৩) হারাম:
পরিতৃপ্তিরও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তবে যদি আগামি দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা হয়, অথবা মেহমানের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতে যেয়ে মেহমানকে খাদ্য গ্রহণের সুযোগ দিতে গিয়ে পরিতৃপ্তির চেয়েও বেশী খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হারাম হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যদি আপনি রোগা হন এবং আপনার ওজনও প্রয়োজনের চেয়ে কম হয়। তাহলে পরিমিত প্রয়োজন অনুসারে খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে শরীর গঠন করতে পারবেন।এবং পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে বেশী খাদ্য গ্রহণ স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।তাছাড়ি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পেঠভরে খাবার গ্রহণও জরুরী নয়। আপনি সুস্থ সবল হিসেবে বেঁচে থাকতে কি পরিমাণ খাবেন? সেটা হচ্ছে তাই, যা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলে দিয়েছেন। তাছাড়া বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার দাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
(২)
স্ত্রীর হক আদায় করা ওয়াজিব।হক আদায় করার জন্য পেঠভরে খাবার গ্রহণ জরুরী নয়।হ্যা, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে বাধা নেই।