আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
328 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
edited by
১।জেহরী কেরাত মাগরিবের জামাতের সালাতে কেরাত পড়ার সময় অন্তরে খারাপ চিন্তা আসার কারণে মনে মনে অর্থাৎ নীরবে যেভাবে আমরা কেরাত পড়ি সেভাবে (না) শব্দটা মুখে চলে আসে মনে মনে তাহলে কি আমার নামাজ ভেংগে যাবে??নামাজ আবার পড়তে হবে?
২।উপরোক্ত প্রশ্নের আলোকে না মুখে আসতে যেয়ে আটকাইয়া গেলে কি নামাজ ভেংগে যাবে? নামাজ আবার পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://ifatwa.info/5375/ ফতোয়াতে নামাজে আস্তে কিরাআতের সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে
কমপক্ষে জিহবা ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করতে হবে।
,
সুতরাং যদি নামাজে আপনি " না" শব্দটি মনে মনেই বলে থাকে, উপরোক্ত পদ্ধতিতে জিহবা ঠোট না নাড়িয়ে থাকেন,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যাই হয়নি।
আপনার নামাজ হয়ে গেছে।
,
আর যদি আপনি জিহবা ঠোট নাড়িয়ে উক্ত "না" শব্দ বলে থাকেন,তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে গিয়েছে।
আপনাকে আবার উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।    
,
নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলোঃ  
নামাজের ভেতর কথা বলা। 

নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
 (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ النَّسَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم عُلِّمْتُ أُمُورًا مِنْ أُمُورِ الإِسْلَامِ فَكَانَ فِيمَا عُلِّمْتُ أَنْ قَالَ لِي " إِذَا عَطَسْتَ فَاحْمَدِ اللهَ وَإِذَا عَطَسَ الْعَاطِسُ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْ يَرْحَمُكَ اللهُ " قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا قَائِمٌ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي الصَّلَاةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ فَحَمِدَ اللهَ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللهُ رَافِعًا بِهَا صَوْتِي فَرَمَانِي النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ حَتَّى احْتَمَلَنِي ذَلِكَ فَقُلْتُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ بِأَعْيُنٍ شُزْرٍ قَالَ فَسَبَّحُوا فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلَاةَ قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ " . قِيلَ هَذَا الأَعْرَابِيُّ فَدَعَانِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " إِنَّمَا الصَّلَاةُ لِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ وَذِكْرِ اللهِ جَلَّ وَعَزَّ فَإِذَا كُنْتَ فِيهَا فَلْيَكُنْ ذَلِكَ شَأْنَكَ " . فَمَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَطُّ أَرْفَقَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم . 

‘আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসার পর আমাকে ইসলামের কিছু বিষয় শেখানো হলো। আমাকে তখন এটাও শেখানো হয়েছিল যে, তুমি হাঁচি দিলে ‘‘আলহামদুল্লিাহ’’ বলবে। আর অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পর ‘আলহামদুল্লিাহ’ বলতে শুনলে তুমি বলবে, ‘‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’’ (অর্থঃ আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন)। তিনি বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সলাত আদায় করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিল এবং ‘‘আলহামদুল্লিাহ’’ বললো। তখন আমি উচ্চস্বরে বললাম, ‘‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’’। এতে উপস্থিত সকলেই আমার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকালো। তাতে আমিও রাগান্বিত হলাম।

আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আমার দিকে এভাবে চোখ ঘুরিয়ে দেখছো কেন? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা সুবহানাল্লাহ বললো। সলাত আদায় শেষে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (সলাতের মধ্যে) কে কথাবার্তা বলেছে? বলা হলো, এই গ্রাম্য লোকটি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন, সলাতে কুরআন পাঠ ও আল্লাহর স্মরণ করা হয়। কাজেই সলাতরত অবস্থায় তোমার তা-ই করা উচিত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাইতে অধিক নম্র ও বিনয়ী শিক্ষক আর কখনো দেখিনি।

(বায়হাক্বী ‘সুনান’ ২/২৪৯) আবু দাউদ ৯৩১)
,
অন্য হাদীসে এসেছেঃঃ
 
মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল (সা.) নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)
,
(০২) যদি জিহবা ঠোট নাড়িয়ে হয়,তাহলে যতটুকু বলেছে, অর্থবোধক শব্দ যদি উচ্চারণ না হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 384 views
...