ঋণগ্রস্ত, নিজস্ব বাড়ি ও সঞ্চিত অর্থ সম্পত্তি নেই এবং মাসিক উপার্জিত অর্থে ভরণপোষণ শেষে কিছু টাকা জমা থাকে এমন ব্যক্তির ওপর কি কুরবানি ওয়াজিব?

Question

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা প্রায় ১৮/১৯ বছর আগে ব্যবসাতে ১০ লক্ষ টাকার মতো ঋণ করেন। অনেকের ধারণা এই টাকাগুলো জুয়া খেলে শেষ করেছেন।এরপর বাবা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।বর্তমানে বাবা প্রবাসে কর্মরত ৫ বছর যাবৎ।আমাদের ঋণ এখনো শোধ হয়নি। অনেক দিন আগের ঋণ হওয়ায় ঋণের চাপ তেমন নেই।আমরাও একটু পাওনাদার দের থেকে দূরে সরে সরে থাকি।তবে কখনো তাদের সাথে দেখা হলে তারা টাকা চায়। আমাদের  বাড়ি,জমি জমা নেই।বাড়ি জায়গা আড়াই শতক বড় চাচা দখল করে রেখেছেন। বাবা মাসিক যে স্যালারি পাচ্ছেন বাসা ভাড়া, মায়ের চিকিৎসাসহ ভরণপোষণ শেষে কিছু টাকা মাসে জমা থাকছে। এই টাকাগুলো জমানো হচ্ছে জমি কিনে  বাড়ি করার উদ্দেশ্যে। বাড়ি করা হয়ে গেলে তারপর ঋণগুলো শোধ করবো।

আমরা কুরবানি করি নি।গ্রামের লোকজন আত্মীয়স্বজনরা বলছে আমাদের কুরবানি দেওয়া উচিত ছিল।কারন বাবা মাসিক বেতন পাচ্ছেন এই ভিত্তিতে।

আমাদের ওপর কুরবানি কি ওয়াজিব?শরীয়ত কি বলে  আমাদের বিষয়ে?
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230629_123135_978.sdocx-->

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،

এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1688

মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1434

নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-

https://www.ifatwa.info/1811

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

যেহেতু আপনাদের ঋণ রয়েছে। ঋণের টাকা পরিশোধ করা আপনার উপর ওয়াজিব। সুতরাং আপনাদের উপর এখন কুরবানি ওয়াজিব হবে না বরং ঋণ পরিশোধ করা বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ওয়াজিব।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।