সুতরাং আপনার মা যেহেতু মান্নত করেছিল, আপনার বোন সুস্থ হয়ে গেলে একটি ছাগল কুরবানী দেবে।
কেনমা মান্নতের বস্তু থেকে মান্নতকারী নিজে উপকৃত হওয়া বা ভোগ করা জায়েয নয়। এ প্রকারের মান্নত যে সদকাযোগ্য- তা দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
সহীহ মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
النَّذْرُ لَا يُقَدِّمُ شَيْئًا، وَلَا يُؤَخِّرُهُ،وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الْبَخِيلِ.
মান্নত কোনো কিছুকে না এগিয়ে আনতে পারে, না পিছিয়ে দিতে পারে। তবে এর মাধ্যমে কৃপণ থেকে কিছু (সম্পদ) বের করা হয়। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৬৩৯)
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
وأما في الأضحية المنذورة سواء كانت من الغني أو الفقير فليس لصاحبها أن يأكل، ولا أن يؤكل، لأن سبيلها التصدق، وليس للمتصدق أن يأكل من صدقته، إلى هذا أشار في الذخيرة، وقال إذا نذر ذبح شاة لايأكل منها الناذر، ولو أكل فعليه قيمة ما أكل.
আর মান্নতের কুরবানীর গোশত মান্নতকারী খেতে পারবে না। মান্নতকারী চাই ধনী হোক বা দরিদ্র। কেননা মান্নত হয়েই থাকে সদকার উদ্দেশ্যে। আর সদকাকারী নিজ সদকা থেকে খেতে পারে না। এ বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেই যখীরাতে বলা হয়েছে-
إذا نذر ذبح شاة لايأكل منها الناذر ولو أكل فعليه قيمة ما أكل.
আর আযযাখীরাতুল বুরহানীয়াহ-এর উক্ত বক্তব্য ইমাম মুহাম্মাদ রাহ.-এরই বক্তব্য; যা আমরা ইতিপূর্বে আলআজনাসের হাওয়ালায় উল্লেখ করেছি।
(আননিহায়া ২/৪৫৩ (মাখতূত, নূর উসমানীয়া)
ولو نذر أن يضحي ولم يسم شيئا يقع على الشاة، ولكن الناذر لا يأكل منها، ولو أكل فعليه قيمتها، كذا في الأجناس.
কোনো ব্যক্তি যদি কুরবানী করার মান্নত করে, কিন্তু কোন্ ধরনের পশু কুরবানী করবে তা উল্লেখ না করে তবে তাকে একটি ছাগল কুরবানী করতে হবে। আর মান্নতকারী তা থেকেখেতে পারবে না। যদি খায় তবে তাকে এর মূল্য সদকা করে দিতে হবে।
(ফয়যুল মাওলাল কারীম আলা আবদিহী ইবরাহীম, পৃষ্ঠা ৩০৪