আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (68 points)
retagged by
FfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsdFfghjsjsjskskoaosjshsusjjsnsmsmmsmsndjjsjdkdkdkkskdkskososowowoisksjdhdhdhskkwowkmsndjdhhsgwghwiwksndhhdjsjsjjoaoasuxhhjsjjshdsijnhjihjsjsjsjhjoijnkojkojdnjxosjdnjxojsnjxoknskoxkdnksoknxksdxsd

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ جٰوَزۡنَا بِبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡبَحۡرَ فَاَتۡبَعَہُمۡ فِرۡعَوۡنُ وَ جُنُوۡدُہٗ بَغۡیًا وَّ عَدۡوًا ؕ حَتّٰۤی اِذَاۤ اَدۡرَکَہُ الۡغَرَقُ ۙ قَالَ اٰمَنۡتُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا الَّذِیۡۤ اٰمَنَتۡ بِہٖ بَنُوۡۤا اِسۡرَآءِیۡلَ وَ اَنَا مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۹۰﴾ 

আর আমরা বনী ইসরাঈলকে সাগর পার করলাম।আর ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনী ঔদ্ধত সহকারে এবং সীমালংঘন করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। পরিশেষে যখন সে ডুবে যেতে লাগল তখন বলল, আমি ঈমান আনলাম যে, নিশ্চয় তিনি ছাড়া অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই, যার প্রতি বনী ইসরাঈল ঈমান এনেছে। আর আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
(সুরা ইউনুস ৯০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه

’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার প্রাণ (রূহ) ওষ্ঠাগত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই আল্লাহ তার তওবা্ কবূল করেন। 
(তিরমিযী ৩৫৩৭, ইবনু মাজাহ ৪২৫৩, আহমাদ ৬১৬০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ৭৬৫৯, শু‘আবূল ঈমান ৬৬৬১, ইবনু হিব্বান ৬২৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৪৩, সহীহ আল জামি‘ ১৯০৩।)

উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللّٰهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ) কারী বলেন, বাহ্যিক দৃষ্টিতে হাদীসাংশে তাওবাহ্ কবূলের ব্যাপারটি মুত্বলাক বা সাধারণভাবে, আর কতিপয় হানাফী একে কাফিরের সাথে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন।

বাহ্যিকদৃষ্টিতে প্রথমটি নির্ভরযোগ্য।

(مَا لَمْ يُغَرْغِرْ) অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত তার আত্মা কণ্ঠনালীতে না পৌঁছবে, অতঃপর তা ঐ বস্ত্তর স্থানে পরিণত না হবে যার কারণে রুগী গড়গড় বা প্রতিধ্বনি করে থাকে। غر غرة বলা হয় পানীয় বস্ত্তকে মুখের মাঝে রাখা এবং কণ্ঠনালীর গোড়া পর্যন্ত পৌঁছানো এবং কণ্ঠনালীর ভিতরে না যাওয়া এবং ঐ বস্ত্ত যার কারণে প্রতিধ্বনি কারী প্রতিধ্বনি করে থাকে তাকে ‘আরবদের ভাষায় লাদূদ, লা‘ঊক এবং সা‘ঊত্ব বলা হয়। উদ্দেশ্য যতক্ষণ পর্যন্ত পরকালের অবস্থাসমূহ প্রত্যক্ষ না করবে।

‘আল্লামা কারী বলেন, অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত সে মৃত্যু সম্পর্কে সুনিশ্চিত না হবে। কেননা মৃত্যু সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার পর ব্যক্তির তাওবাহকে তাওবাহ্ গণ্য করা হবে না।

এর সমর্থনে আল্লাহর বাণী, ‘‘আর যারা পাপ কর্ম করে এমনকি তাদের কাছে যখন মৃত্যু আগমন করে তখন বলে আমি এখন তাওবাহ্ করব তাদের কোন তাওবাহ্ নেই এবং কাফির অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করে তাদের কোন তাওবাহ্ নেই।’’ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৮)

তুরবিশতী বলেন, (مَا لَمْ يُغَرْغِرْ) এর অর্থ হল, যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে মৃত্যু আগমন না করবে। কেননা ব্যক্তির কাছে যখন মৃত্যু আগমন করে তখন সে প্রতিধ্বনি করে থাকে। অতঃপর যখন সে মৃত্যু, জীবন অবসান সম্পর্কে জানতে পারে, সুনিশ্চিত হতে পারে তখন তার তাওবাহ্ গ্রহণীয় নয়। তিনি বলেন, যদিও আমরা মৃত্যু উপস্থিত হওয়া ব্যক্তির দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন অসম্ভব সম্পর্কে নিশ্চিত এবং তার তাওবাহ্ কবূলের বিষয়টি অস্বীকার করি রহমাতের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এবং ব্যক্তি ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে তথাপিও আমরা আল্লাহর তরফ থেকে ঐ ব্যক্তির জন্য ক্ষমার আশা করব। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শির্ক করার গুনাহ ক্ষমা করবেন না তবে শির্ক ছাড়া আরো যত গুনাহ আছে তা যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন’’- (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৪৮)। বুঝা গেল, স্বচক্ষে মৃত্যু দেখার সময় তাওবাহ্ উপকারে আসবে না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আল্লাহর কাছে কেবল ঐ সমস্ত লোকেদের তাওবাহ্ গ্রহণ করা হবে যারা অজ্ঞতাবশত মন্দকর্ম করে, অতঃপর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল সুকৌশলী। আর ঐ সমস্ত লোকেদের তাওবাহ্ গ্রহণ করা হবে না যারা মন্দকর্ম করে এমনকি তাদের কাছে যখন মৃত্যু আগমন করে তখন বলে যে, আমি এখন তাওবাহ্ করব।’’ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৭-১৮)

জমহূর মুফাসসিরীনদের নিকটে অনতিবিলম্বে তাওবাহ্ বলতে, স্বচক্ষে মৃত্যু দেখার পূর্বে তাওবাহ্ করা, অর্থাৎ- মৃত্যু উপস্থিত হওয়ার পূর্বে তাওবাহ্ করা। ‘ইকরিমাহ্ বলেন, মরণের পূর্বে। যাহহাক বলেন, মালাকুল মাওতকে স্বচক্ষে দেখার পূর্বে। এ হল অনতিবিলম্বে তাওবাহকারীর অবস্থা। পক্ষান্তরে মৃত্যু সংঘটিত হওয়াকালে যে ব্যক্তি বলবে, আমি এখন তাওবাহ্ করব তার তাওবাহ্ গ্রহণ করা হবে না। কেননা ওটা আবশ্যকীয় তাওবাহ্ স্বেচ্ছাধীন না। কেননা সেই তাওবাহ্ পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়ার পর, কিয়ামতের দিন এবং আল্লাহর শাস্তি স্বচক্ষে দেখার পর তাওবাহ্ করার মতো। একমতে বলা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাওবাহ্ করার অর্থ হল, গুনাহের উপর স্থির না হয়ে গুনাহের পরপরই তাওবাহ্ করা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কেউ মুসলিম হতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রাণ (রূহ) ওষ্ঠাগত হওয়ার আগেই ঈমান আনতে হবে,মালাকুল মউতে দেখার পর যখন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বল ছেড়ে দেয়,তখন ঈমান যথেষ্ট হবেনা।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ঈমান গ্রহনযোগ্য হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (68 points)
মালাকুল মউত কে না দেখার আগেই যদি কালিমা শাহাদাত পাঠ করে, মানে অজান্তেই মুরতাদ হওয়া ব্যক্তির কাছে শেখানো কালিমা শাহাদাত দিয়ে তাহলে কি সে মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করল? সেই যাদুকর শয়তান পূজারী ছিল।
by (560,820 points)
হ্যাঁ, সে মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করল।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...