হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
فتجب التضحية على حر مسلم مقيم موسر (تنوير الأبصار مع الدر-9/452-453)
সারমর্মঃ-
কুরবানী প্রত্যেক আযাদ মুসলমান মুকিম ধনীর উপর ওয়াজিব।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিসাব পরিমাণ অর্থ থাকলে নারীর আলাদা কুরবানি ও জাকাত দিতে হবে।
এক্ষেত্রে তার পিতা অথবা স্বামী তার পক্ষ থেকে তার অনুমতি নিয়ে আলাদা ভাবে তার নামে আদায় করলে সেক্ষেত্রে সেটি তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الأَضْحَى بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ عَنْ مِنْبَرِهِ فَأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ وَقَالَ " بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ هَذَا عَنِّي وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي "
কুতায়বা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কুরবানীর ঈদে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি খুতবা প্রদান শেষ করে মিম্বর থেকে নেমে এলেন। একটি মেষ আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে সেটিকে যবাহ করলেন। বললেন, "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর"। এটি হল আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মাতের মধ্যে যারা কুরবানী দিতে পারেনি তাদের পক্ষ থেকে।’’
সহীহ, ইরওয়া ১১৩৮, সহীহ আবূ দাউদ ২৫০১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫২১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي عُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ كَيْفَ كَانَتِ الضَّحَايَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ الرَّجُلُ يُضَحِّي بِالشَّاةِ عَنْهُ وَعَنْ أَهْلِ بَيْتِهِ فَيَأْكُلُونَ وَيُطْعِمُونَ حَتَّى تَبَاهَى النَّاسُ فَصَارَتْ كَمَا تَرَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعُمَارَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ مَدَنِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ضَحَّى بِكَبْشٍ فَقَالَ " هَذَا عَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي " . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تُجْزِئُ الشَّاةُ إِلاَّ عَنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ .
ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ... ’আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ আইয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কুরবানী কেমন হতো? তিনি বললেন, একজন নিজের এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বকরী কুরবানী করতো, নিজেরাও খেত অন্যদেরকেও খাওয়াতো। শেষে লোকেরা এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা করে বাহাদুরী প্রদর্শন শুরু করল। ফলে তা-ই হয়েছে তুমি যা দেখেছ। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩১৪৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী উমার ইবনু আবদুল্লাহ হলেন, মদীনী। তার বরাতে মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-ও রিওয়ায়াত করেছেন। কতক আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। তাঁরা দলীল হিসাবে পেশ করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি মেষ কুরবানী দিলেন এবং বললেন, এটি হল আমার উম্মাতের সে সব লোকদের পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে সক্ষম নয়। কোন কোন আলিম বলেন, একটি বকরী মাত্র একজনের পক্ষ থেকেই যথেষ্ট হতে পারে। এ হল ইমাম আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক প্রমুখ (রহঃ) আলিমগণের অভিমত।
★এক্ষেত্রে এক কুরবানীতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছওয়াবের নিয়ত করলে তারাও ছওয়াব পাবে।
★সে সময়ে প্রায় মানুষই গরিব ছিলো,তাই অধিকাংশ পরিবারে যেহেতু একজনই নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক ছিলো,তাই একজনই কুরবানী আদায় করেছে।
সুতরাং উক্ত হাদীসের উপর ভিত্তি করে একজনের কুরবানী পরিবারে আরো কেহ নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হবে,এটি বলা সহীহ হবেনা।