ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবীগণ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা সৃষ্টিকুলের মাঝে আল্লাহ্র কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ্ তাআলা তাঁদেরকে কবিরা গুনাহ থেকে মুক্ত করেছেন। তাই তাঁরা কখনও কবিরা গুনাহ করেন না। তাঁরা কবিরা গুনাহ থেকে মাসুম বা মুক্ত; সেটা নবুয়তপ্রাপ্তির আগে হোক কিংবা পরে।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) মাজমুউল ফাতাওয়া গ্রন্থে (৪/৩১৯) বলেন:
"নবীগণ কবিরা গুনাহ থেকে মাসুম (নিষ্পাপ); সগিরা গুনাহ থেকে নয়- এটি কিছু সংখ্যক আলেমের মত।
সগিরা গুনাহ তাঁদের কাছ থেকে কিংবা তাঁদের কারো কারো কাছ থেকে সংঘটিত হতে পারে। এ কারণে কিছু আলেমের অভিমত হল: তাঁরা সগিরা গুনাহ থেকে মাসুম নন। যদি এমন কোন সগিরা গুনাহ তাঁদের দ্বারা ঘটে যায় তাহলে তাতে সম্মতি দেওয়া হয় না; বরং আল্লাহ্ তাঁদেরকে সতর্ক করে দেন এবং অবিলম্বে তাঁরা সেগুলো থেকে তওবা করে ফিরে আসেন।
তবে অধিকাংশ আলেমের মত হল,যেভাবে নবীগণ কবিরা গোনাহ থেকে মুক্ত ঠিকতেমনিভাবে সগিরা গোনাহ থেকেও মুক্ত। এটা তাফসিরবিদ, হাদিসবিদ, ফিকাহবিদেরও অভিমত। বরং সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী, সলফে সালেহিন ও ইমামদের কাছ থেকে যে সব বক্তব্য এসেছে সেগুলো এ অভিমতের অনুকূলে।"
নবীদের দ্বারাও কবিরা গুনাহ হয়েছে'- এই আকিদায় বিশ্বাস করলে অবশ্যই জরুরিয়াতে দ্বীনকে অস্বীকার করা হয়।যে জন্য অবশ্যই ঈমান চলে যাবে।তবে সবীদের কাছ থেকে সগিরা গোনাহ হয়েছে,এটা ইজতেহাদি মাসাঈল,সুতরাং এমন আকিদা পোষণ করলে অবশ্যই জরুরিয়াতে দ্বীনকে অস্বীকার করা হয়,যেজন্য ঈমান চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।