ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ.
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)আপনি সমস্ত শরীরে পানি পৌছাবেন। শুধুমাত্র ব্যান্ডজের স্থানে মাসেহ করে নিবেন। এদ্বারা আপনার পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে।যদি নিজে না পারেন, তাহলে অন্যর সাহায্য নিয়ে গোসল করে নিবেন।যদি নিজে না পারে এবং অন্য কারো সাহায্য নিতেও অক্ষম হন, তাহলে তখন আপনি তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্র হতে পারবেন।
(২) যদি আপনাকে কখনো ফরয গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে হয়,তবে তায়াম্মুমের তিনটি ফরযের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে,
তায়াম্মুম এর ফরয তিনটি যথা-
(১)নিয়ত করা
(২)দুই হাত পবিত্র মাটিতে মেরে/লাগিয়ে তার পর হাতকে হাতকে ঝাটকা দিয়ে বালু ঝেড়ে সমস্ত মুখ মাসেহ
(৩)এইভাবে দুনু হাতকে মিটিতে মেরে অতঃপর ঝাটকা মেরে কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।
এই তিনটি বিষয় খেয়াল করো তায়াম্মুম করলেই তায়াম্মুম হয়ে যাবে।
(৩)ওযু এবং ফরয গোসলের পরিবর্তে যে তায়াম্মুম করা হয়, তার পদ্ধতি একই।
(৪) ওযু করার ক্ষেত্রে হাতের ওই অংশ বাদে বাকি অংশ পানি দিয়ে ওযু সম্পন্ন করবেন।