বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আউলিয়ারা মারা যাওয়ার পর তাদের কাছে কিছু চাওয়া যাবে না।আল্লাহ ব্যতীত কারো নিকট কিছু চাওয়া যাবে না।চাইলে স্পষ্টত শিরক হবে।
(২)
"যারা মাজার ভক্ত তাদের কথা, উনারা মারা যাওয়ার পরও দিতে পারে উনাদের রুহটা সবখানে যেতে পারে"
এমন আকিদা পোষন করা শিরক।এমন আকিদা যারা লালন করবে,তাদের ঈমান থাকবে না।
রুহ জগৎ হল,
জন্মের পূর্বে যেখানে রুহ কে রাখা হয়েছিলো,এবং মৃত্যুর পর যেখানে রুহকে রাখা হবে।
(৩)
"রুহ জগত থেকে কি আউলিয়ারা কিছু দিতে পারে?"
না,রুহ জগত থেকে কি আউলিয়ারা কিছু দিতে পারবে না।এমন আকিদা কোনো মুসলিম কখনো রাখতে পারে না।এমন আকিদা পোষন করলে ঈমান চলে যাবে।
(৪)
রাসুলাল্লাহ সাঃ ব্যতীত কারো উসিলা গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।
(৫)
গজল বা ইসলামী সংগীত যদি ভালো অর্থবোধক হয়, তাহলে আবৃত্তি করা, শ্রবণ করা জায়েয আছে।চায় একক কন্ঠে হোক বা সম্মিলিত কন্ঠে হোক।
তবে কয়েকটি মূলনীতিকে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(১)মিউজিক থাকতে পারবে না।
(২)অত্যাধিক মনযোগ প্রদান করা যাবে না।যার দরুণ ফরয ওয়াজিব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
(৩)মহিলাদের কন্ঠে হতে পারবে না,এবং অশ্লীল বা হারাম কথাবার্থা তাতে থাকতে পারবে না।
(৪)ফাসিক,এবং উদ্ভ্রান্তদের কন্ঠে হতে পারবে না।
(৫)এমন কোনো আয়োজন হতে পারবে না, যা মিউজিকের মত মনে হয়।
(৬)গান যেভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করে,ফিতনায় পতিত করে, সে রকম কোনো কন্ঠ হতে পারবে না।
অথচ বর্তমানে প্রচলিত অনেক শে'র, গজলে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়।আজকালের শ্রুতাগণ অর্থের দিকে খেয়াল না করে, তারা কন্ঠ এবং ভাবভঙ্গির দিকেই বেশী খেয়াল করে গজল বাছাইরকরে।এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।(ফাতহুল বারী-১০/৫৫৩)
(৬)
এমনটা কখনো হতে পারে না।