আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
672 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।

| দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে জরুরি। কারণ, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উভয়েরই আমল করা প্রয়োজন, আর আমল করার জন্য ইলম এর প্রয়োজন।

| জাগতিক জ্ঞান অর্জন করা নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে জরুরি নয়। পুরুষের জন্য অধিক জরুরি; নারীর জন্য নয়। কারণ, পুরুষ অর্থ উপার্জন করতে বাধ্য, কিন্তু নারী বাধ্য নয়। জাগতিক জ্ঞান অর্জনের বড় উদ্দেশ্যই হচ্ছে অর্থ উপার্জন করা।
.
শুধুমাত্র দুটি পেশায় নারীদেরকে অত্যন্ত প্রয়োজন।
১. নারীদেরকে চিকিৎসা প্রদানের জন্য নারী ডাক্তার/নার্স এর প্রয়োজন।
২. নারীদেরকে শিক্ষাদানের জন্য নারী শিক্ষিকার প্রয়োজন।
.
আমাদের দেশে খুব খারাপ একটি সিস্টেম হচ্ছে সহশিক্ষা; যা হারাম।
যে দুই উদ্দেশ্যে বাধ্য হয়ে পূর্ণ পর্দার সাথে নারীদের জন্য সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করা বৈধ; কিন্তু যদি শুধু নারী মহলে শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ থাকে তাহলে বৈধ নয়।

উদ্দেশ্য-১: নারীদের পর্দা রক্ষার উদ্দেশ্যে ডাক্তার/নার্স হয়ে নারীদের চিকিৎসা প্রদান করা।
উদ্দেশ্য-২: নারীদের পর্দা রক্ষার উদ্দেশ্যে নারী মহলে শিক্ষকতা করা।

এই দুই উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নারীদের জন্য সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করা বৈধ নয়। আর দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের জন্য মহিলা মাদরাসা আছে, এখানে সহশিক্ষার নামগন্ধও নেই।

প্রশ্ন: নারীদের সহশিক্ষার ব্যাপারে এই লেখাটি কি গ্রহণযোগ্য?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء
মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ
আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,
 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك
সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ
অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)
,
সহ শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 
,
মহিলাদের জন্য ডাক্তারি শিক্ষা অর্জনের বিধানঃ
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...