আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ উস্তাদ।
১) রাসূল (সা) কে হাজির-নাজির মানে ও মাজারের ওসিলা ধরা বিশ্বাস করে এমন কোন আলিয়ার স্টুডেন্টকে (পাত্রকে), শিরক-বিদআতের ব্যাপারে সচেতন ও ভীত থাকে এমন কোন মেয়ের জন্য কি বিয়ে করা জায়েজ বা উত্তম হবে? নাকি ঝুঁকিপূর্ণ হবে? আর উক্ত আকীদার অনুসারীরা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের বাইরের না উস্তাদ?
২) দীনদার পাত্রের সন্ধ্যানে উপরিক্ত এমন বায়োডাটা যদি আসে তাহলে করণীয় কি? জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডদের দীনি ইলমের আশঙ্কাবোধ থেকে মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও আলিয়া স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে শিরক-বিদআতের পেরেশানি। এমতাবস্থায় কি করণীয়? একটু বুঝিয়ে দিবেন দয়া করে। কোনটা অনুসরণ করলে স্বস্থি মিলবে হুজুর?
জাযাকাল্লাহু  খয়েরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে হাজির নাজির সহ বিভিন্ন বিদ'আতে নিমজ্জিত ব্যক্তিদের নিকট কুরআন সুন্নাহর সঠিক বাণী পৌছিয়ে দিতে পারলে আশা করা যায় যে, তারা সেটাকে গ্রহণ করে নিবে এবং বিদ'আতকে পরিত্যাগ করবে যদিও বিষয়টা জটিল।
অন্যদিকে যারা ইসলাম থেকে অনেক দূরে তাদেরকে ইসলামের দিকে নিয়ে আসা অত্যান্ত কষ্টকর মনে হলেও আল্লাহর হুকুমে দাওয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক দ্বীনের পথে নিয়ে আসা অত্যান্ত সহজ।  বিদ'আত নিমজ্জিত ব্যক্তিদের তুলনায় সাধারণ দ্বীন না মানা ব্যক্তিদেরকে সঠিক হেদায়তের দিকে নিয়ে আসা সহজ।

অন্যদিকে যেহেতু বিদ'আতে লিপ্ত ব্যক্তিরা অন্যান্য হারাম কাজ যেমন সুদ ঘুষ থেকে দূরে থাকেন, দাড়ি রাখেন।আখিরাতের চিন্তা ফিকির তাদের মধ্যে থাকে যদি তাদের ইবাদতের পদ্ধতিতে ভুল রয়েছে, তাই জাহেল ব্যক্তিদের তুলনায় এদের সাথে সংসার স্থাপন করাই সুবিধাজনক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...