আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বিয়ে হয়েছে ৫ বছর। আর শ্বশুরবাড়িতে এসেছি ২মাস হলো। হাজবেন্ড প্রবাসী।

প্রেক্ষাপট১) আমার হাজবেন্ড(২৫ বছর) ছাত্র থাকার কারণে তার পড়াশোনা+থাকা-খাওয়াতেই প্রচুর টাকা ব্যয় হয়ে যায়। তবু সে তার বড় বোনের বিয়েতে ৪-৫ লাখ টাকা,  প্রতিমাসে বাড়িতে কম হলেও ২০ হাজার(কখনো ৭০হাজার-১ লাখ) এরকম দেয় খাওয়ার খরচ+সব খরচ। তার ছোটো বোনকে মাদ্রাসায় রেখে পড়ায়,সেখানেও ৫ -৬হাজারের মতো খরচ করে প্রতিমাসে। তার বাবা একদম ফিট,সুস্থ মা শা আল্লাহ,কিন্তু কিছুই করেনা। তার মা-ও একদম কম বয়সী মহিলা।
প্রশ্ন ১⏭️⏭️সে যে  এদের কারণে অকারণে এতো টাকা দিচ্ছে ,এসব কি তার জন্য ফরজ/ওয়াজিব❓❓❓
২)) আমি এদের বাড়িতে ২মাস, এই ২মাসে আমার শ্বাশুড়ি ২বেলায়ও পেট ভরে খেতে দেয়নি। আমার হাজবেন্ড সব দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ তবু তিনি আমার প্লেটে সবচেয়ে ছোট মাছ,সবচেয়ে ছোটো টুকরা,সবচেয়ে কম দেন।  আমি ভালো ফ্যামিলির খেয়েপড়ে আসা মেয়ে। এরাও ভালো খায় কিন্তু আমাকে দেয়না।

★ আমি ১ মাসের গর্ভবতী আলহামদুলিল্লাহ। আমার জন্য আমার স্বামীর টাকায় এরা ১টা ডিমও এনে দেয়না খেতে।
★★ এদের বাড়িতে পানির ট্যাপ থাকা সত্বেও আমাকে টিউবওয়েল চেপে কাজ করতে জোর করে। যেখানে এসব ভারি কাজ ডাক্তারের নিষেধ।
★★★এরা আমার প্রেগন্যান্সিতে ডাক্তার দেখালে মারাত্মক কথা শোনায় প্রতিনিয়ত।
★★আমি কালো তবু আমার হাজবেন্ড আমাকে খুব ভালোবাসে আলহামদুলিল্লাহ, আমার হাজবেন্ড সুন্দর মা শা আল্লাহ। আমার শ্বাশুড়ি আমাকে দিনে ৪বেলা গায়ের রঙের খোটা দেয়,যা আমার প্রচন্ড কষ্ট হয়।

★★আমার বাবার বাড়ি থেকে বিয়েতে ১২ ভরি স্বর্ণ+৪লাখ+ টাকার ফার্নিচার দিয়েছে আব্বু, খুশি মনেই,কারণ আমার রঙ। তবু আমার শ্বশুর প্রতিনিয়ত আমার আব্বুকে ফকির বলে কটাক্ষ করে।

আমার অনেক ক্ষিধে লাগে। আমাকে খেতে দেয়না পর্যাপ্ত, সারাক্ষণ মাথা ঘুরে ক্ষুধায়।
প্রশ্ন ➡️ সে আমাকে আলাদা রাখেনা কারণ আলাদা রাখলে তার বাড়িতে টাকা এতো বেশি দিতে পারবেনা। আমার আর তার অনাগত সন্তানের জন্য তখন থাকা খাওয়াতে বেশি খরচ হবে।
প্রশ্ন ২⏭️⏭️) ছেলেদের বিয়ের পর নিজের স্ত্রী সন্তানের হক কতটা? বড় বোন,ছোটো বোনের দায়িত্ব তার নাকি বউ-বাচ্চার দায়িত্ব তার?
আমার স্বামী চাইলে আমাকে বিদেশে নিজের কাছে নিতে পারে,কিন্তু তার চাপ হয়ে যাবে।

প্রশ্ন ৩⏭️⏭️এরকম অবস্থায় আমার হাজবেন্ডের করনীয় কি ইসলামিক দৃষ্টিতে?
প্রশ্ন ৪⏭️⏭️বিয়ের পর কারোর সামর্থ্য না থাকলে বউ-বাচ্চার দায়িত্ব আগে নাকি তার মা-বাবা বোনদের দায়িত্ব আগে?

1 Answer

0 votes
by (598,650 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )
স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

খোরপোষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়েছি। স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ যেভাবে ওয়াজিব ঠিক সেভাবে মাতাপিতা ও ভাই বোনদেরও ওয়াজিব যদি তাদের নিজস্ব কোনো মাল সম্পদ না থাকে। অগ্রাধিকার কার?  এ এই প্রশ্নের জবাবে বলা যেতে পারে যে, স্ত্রীর মাল থাকুক বা নাই থাকুক, স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ ওয়াজিব।আর মাতাপিতা ও ভাই বোনদের সম্পদ না থাকলে তাদের ভরণপোষণ আপনার স্বামীর উপর ওয়াজিব। আপনি উক্ত পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারণ করুন। তাদের হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন। স্বামীকে বলুন তার অবস্থান স্থলে আপনাকে নিয়ে যেতে। তাহলে আর কোনো সমস্যাই বাকী থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (598,650 points)
  সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...