আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আমি শুশুর বাড়ি ছিলাম আমার বাবা আমাকে কল দিয়ে বলে যে বাজারে আস আইডি কার্ড নিয়ে আমি বললাম কেনো বলেনা আগে আস তারপর বলব তারপর আইডি কার্ড ফটোকপি করতে বলে বারবার জিজ্ঞেস করলে বলেনা পরে সোনালী  ব্যাংকে নিয়ে যাওয়ার সময় বলে যে ব্যংক লোন তুলবে।  ওনার জন্য আমি তুলে দিতাম   আমি বলছি যে সুদের কারবারে আমি নাই তারপর বলে অনেক বিপদ টাকা তুলে দিতে। আমার ইনকাম নাই ওনি আমার খরচ চালায় কিছু বলতে পারিনি। পরে ঐ টাকা থেকে না  ওনার থেকে ১০০০টাকা দেয় বলে যে কাউকে বলবি না।আগেও অনেক ব্যংক লোন তুলছে ঠিক দেয়না ঘুরায়। এই বিষয় নিয়ে নিচে কয়েকটি প্রশ্ন।

১।আমি নিরুপায় হয়ে তুলছি এখন কি আমার সুদের গুনাহ হবে কিভাবে তওবা করমু।

২।কাউকে জানাইতে না করছে আমার মাকে  জানাইতে পারবো কি
৩।ব্যাংক লোনের টাকা থেকে না ওনার থেকে ১০০০টাকা দিছে তা আমার জন্য কি খরচ করা জায়েজ হবে।
৪।আমার বউয়ের সিজার হইছে দুই মাস হবে এখন সাভাবিক ভাবে নামাজ পড়তে গেলে সিজারের জায়গায় ব্যাথা পায় এখন কিভাবে পরবে পদ্ধতি বললে উপকৃত হতাম।

৫।গোসলের অযু করার পর সাবান দিয়ে ডলে পরে সমস্ত শরীর ধুইলে গোসলের ফরজ আদায় হবে কি।

৬।বাথরুমে যাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে ইস্তিন্জা সারার পর অযু করলে কি হবে

৭।আমার স্ত্রীর ifatwa তে আইডি খুলে দেই এবং আমি প্রশ্ন করে দেই আমার  স্ত্রীর প্রশ্নের সাথে আমার কিছু প্রশ্ন করি এই কাজটা কি ঠিক হবে

৮।আমি বিদেশ যাওয়ার সময় আমি মানা করার পরে আমার বাবা ব্যংক লোন নিলে আমার গুনাহ হবে কি

1 Answer

0 votes
by (564,570 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,লোন নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা  জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সূদী লোন গ্রহন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার গুনাহ আপনার হবে।

এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আর এহেন সহযোগিতা না করার শর্তে আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

(০২)
আপনি যদি তার কাছে ওয়াদা দিয়ে থাকেন্যে কাউকে জানাবেননা,সেক্ষেত্রে কাউকে জানাতে পারবেননা।
মা কেও জানাতে পারবেননা,সেক্ষেত্রে ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে।

(০৩)
সে লোন যদি তিনি হালাল টাকায় শোধ করেন,সেক্ষেত্রে তাহা আপনার জন্য খরচ করা জায়েজ হবে।

(০৪)
প্রয়োজনে আপনার স্ত্রী কোনো কিছুর উপর ভর দিয়ে আস্তে-ধীরে নামাজ আদায় করতে পারেন।

তাহা সম্ভব না হলে তিনি বসে নামাজ আদায় করতে পারেন। 

(০৫)
হ্যাঁ, আদায় হবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে অযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার সুন্নাত আদায় হবেনা।

এটাস্ট বাথরুমে অযুর শুরুতে মনে মনে বিসমিল্লাহ পড়তে পারেন।

আর এটাস্ট বাথরুম না হলে সেক্ষেত্রে বাহিরে এসে বিসমিল্লাহ বলে অযু করবেন।

(০৭)
এক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...